কোটাসুর একটি আধুনিক বর্ধনশীল গ্রাম হলেও, এর নামে প্রাচীন রাজনৈতিক ও পৌরাণিক ঐতিহ্যের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয় লোককথায় এই অঞ্চলকে অসুর-রাজার সঙ্গে যুক্ত করে বলা হয়, যা এর নামের রহস্যময়তা বাড়িয়ে তোলে। আর এই কোটাসুর এর মধ্যে রয়েছে মদনেশ্বর শিব মন্দির। কোটাসুর গ্রামটি বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার অন্তর্গত। বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ি থেকে প্রায় ২৮ কিমি এবং বোলপুর থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে অবস্থিত।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
মূল শিবলিঙ্গের নাম মদনেশ্বর।
এছাড়া মন্দির চত্বরে আছেন মা কালী (কোটাসুরেশ্বরী), মহিষমর্দিনী দুর্গা, তারা মা, শীতলা ইত্যাদি। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলও তারাপীঠের সঙ্গে এই মন্দিরের গভীর সম্পর্ক। পুরাণ অনুসারে সাধক বামদেব এখানেই প্রথম তারা মায়ের কৃপা লাভ করেন এবং পরে তারাপীঠে গিয়ে সাধনা করেন। মন্দিরটি প্রায় ৭০০-৮০০ বছরের প্রাচীন বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, এখানে সত্যযুগে ভগবান শিব নিজেই মদনেশ্বর রূপে প্রকাশিত হয়েছিলেন। মহাভারতের সময় পাণ্ডবরা অজ্ঞাতবাসের সময় এখানে এসে শিবের পুজো করেছিলেন বলে স্থানীয় লোককথা আছে।
মন্দিরটি বর্তমানে অনেক সংস্কার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আছে। তবে এখনও এটি তারাপীঠের মতো পর্যটকদের ভিড়ে পরিপূর্ণ হয় না, তাই শান্ত ও নির্জন নিরিবিলি পরিবেশে সাধনা করার জায়গা হিসেবে এখনও বিখ্যাত। যারা তারাপীঠ যান, তারা প্রায়ই কোটাসুর মদনেশ্বর মন্দির দর্শন করেন, কারণ বামদেবের জীবনের সঙ্গে এই দুটি স্থান অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তবে আপনি যদি এই মন্দির না ঘুরে এসেছেন তাহলে অন্ততপক্ষে একবার ঘুরে আসতে পারেন।
সৌভিক রায়





