জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের এই ব্রিজ এক সময়ে পদ্মা নদীর অতিরিক্ত জল পাশ করার জন্য ব্যবহৃত হত। জলবণ্টনের এই প্রাকৃতিক পথ দিয়ে বহু বছর আগেও পদ্মা নদীর অতিরিক্ত জল প্রবাহিত হত। তবে বর্তমানে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সেই প্রবাহ প্রায় বন্ধ, ফলে ক্যানেলটি আজ পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়ে গেছে। এখানকার মানুষজন প্রতিদিন এই সরু, জরাজীর্ণ সেতু দিয়েই যাতায়াত করেন। একদিকে বহরমপুর, অন্যদিকে আখরিগঞ্জ—এই দুই অঞ্চলের সংযোগস্থলে ব্রিজটি আজও গুরুত্বপূর্ণ ‘লাইফলাইন’। রাস্তার কোন বিকল্প না থাকায়, প্রতিদিন এই পথে অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলগাড়ি, মালবাহী গাড়ি চলাচল করে। একই সময়ে একটিমাত্র গাড়ি চলাচল করতে পারে—অন্যদিকে সব যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: রথযাত্রার আগে বাজার গরম ছোট ছোট কাঠের রথের! দাম কত? ঠকতে না চাইলে আগেই দেখে নিন আসল দাম
স্থানীয় এক বাসিন্দা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “যদি একটা অ্যাম্বুলেন্স আসে, ১০-১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই সময়ে রোগীর যা অবস্থা হতে পারে, তা ভেবে দেখার বিষয়!” দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে আশ্বাস মিলছে বিকল্প রাস্তা বা নতুন ডবল লেন ব্রিজের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ পায়নি। এলাকাবাসীরা বহুবার স্থানীয় বিধায়ক, বিডিও এবং পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তবুও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আহসানুর রহমান বলেন, “ব্রিজটি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এটি ‘ইউ’ আকৃতির, তাই একে স্টেট ব্রিজ করা যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিষয়টি জেলা তৃণমূল সভাপতির নজরেও রয়েছে।” গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা শিখা বিবি জানান, “আমি পঞ্চায়েত প্রধান এবং বিডিও সাহেবকে জানিয়েছি। তারা সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।”
স্থানীয়দের এখন একটাই দাবি, ব্রিজটির অবিলম্বে সংস্কার ও পাশাপাশি নতুন একটি ডবল লেন ব্রিজ নির্মাণ। যাতে মানুষের যাতায়াত, জরুরি পরিষেবা, শিক্ষা ও অর্থনীতির গতি বিঘ্ন না ঘটে। একটি সেতু ভেঙে পড়া মানেই শুধু কাঠামোর পতন নয়, তা আসলে প্রশাসনিক অবহেলার প্রতিচ্ছবি। শতবর্ষ এই ব্রিজটি এখন প্রশ্ন তুলছে—আশ্বাসে আর কতদিন চলবে?
কৌশিক অধিকারী





