পর্যটকদের দিঘায় রেলপথে আসার জন্য ইতিমধ্যেই রেলপথ চালু করার পাশাপাশি একাধিক ট্রেন চালু করা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এবার দিঘার বাসিন্দাদের জন্য রেলের তরফ থেকে আরও একটি সুখবর দেওয়া হল।
আরও পড়ুনঃ খালি পেটে ভুলেও খাবেন না, বসন্তে মেলে এই ফল, ব্লাড প্রেশার-অ্যাসিডিটি কমায়
সুখবর অনুযায়ী, এ বার দিঘা থেকেই সোজা জলেশ্বর-সহ ওড়িশা এবং দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গা পৌঁছনো যাবে। দিঘার বাসিন্দা অথবা ব্যবসায়ীদের আর এই সকল জায়গা যাওয়ার জন্য হাওড়া বা খড়গপুরের উপর নির্ভরশীল হতে হবে না। দিঘা থেকে জলেশ্বর পর্যন্ত ৭২ কিমি রাস্তা রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ ২০১১-১২ সালে অনুমোদিত হয়েছিল। এই রেলপথ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হলেই দিঘার ভোল বদলে যাবে।
advertisement
দিঘায় যেমন আরও বেশি পর্যটকদের আগমন ঘটবে ঠিক সেই রকমই এলাকার বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন। তবে এই রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ জমি জটের কারণে এতদিন আটকে ছিল। দিঘা এবং ওড়িশার জলেশ্বরকে রেলপথে এক সূত্রে বাঁধার জন্য প্রয়োজন ৫০৭ একর জমি। তার মধ্যে ১৩৭ একর পশ্চিমবঙ্গে এবং ৩৭০ একর ওড়িশায়।
আরও পড়ুনঃ পুষ্টির আঁতুড়ঘর, ব্লাড প্রেশার কমাতে অব্যর্থ সুস্বাদু এই পানীয়, ফলের নামেই লুকিয়ে বড় চমক!
এই প্রকল্পের জন্য রেলের তরফ থেকে ১৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও পশ্চিমবঙ্গে জমি জটের কারণে কাজ আটকে থাকে। তবে এই প্রকল্প খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে বলে আগেই আশ্বাস দিয়েছেন রেল মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার বৈষ্ণব। ইতিপূর্বেই জলেশ্বর থেকে চন্দনেশ্বর পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ দ্রুতই চলছে। তাই কাঁথির সাংসদ আশা করছেন রেলের এই প্রকল্পের জন্য পশ্চিমবঙ্গে জমি জট কেটে যাবে আর দ্রুতই দিঘা জলেশ্বর লাইন সংযুক্ত হবে।
হাওড়া থেকে খড়গপুর, জলেশ্বর হয়ে দক্ষিণ ভারত যাওয়া দূরত্বের দিক দিয়ে কম হলেও এই রুটটিও খুব ব্যস্ত থাকে। যে কারণে সব সময় এই রুটে গ্রিন সিগনাল পাওয়া যায় না। ফলে রাস্তা কম হলেও সময় অনেক বেশি লেগে যায়। আবার অত্যাধিক ট্রেন যাতায়াতের ফলে এই রুটটির উপর প্রচন্ড চাপ থাকে। এই পরিস্থিতিতে দিঘা জলেশ্বর রুটের রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে হাওড়া থেকে বহু ট্রেন এই রুট দিয়ে চালানো হবে। তাতে যাত্রীদের নিরাপত্তা আরও বেশি সুরক্ষিত হবে এবং দূরত্ব বেশি হলেও তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছনো যাবে। দিঘা থেকে জলেশ্বর লাইন যুক্ত হলে, দিঘা থেকে পুরীর দূরত্ব মাত্র কমে দাঁড়াবে তিন ঘণ্টা।
সৈকত শী





