Richa and Boy Cricketer : ‘তখন আমার দলে কোনও মেয়ে খেলোয়াড় ছিল না, রিচা একা ছেলেদের সঙ্গে অনুশীলন করত’ প্রথম কোচের অকপট বয়ান
- Published by:Debalina Datta
- hyperlocal
- Reported by:Ricktik Bhattacharjee
Last Updated:
Richa and Boy Cricketer : ছেলেদের মধ্যে একা অনুশীলন করতেন রিচা! জানুন বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারের খেলার ইতিহাস
advertisement
1/5

শিলিগুড়ি : বাংলা থেকে ভারত, ভারত থেকে বিশ্ব— রিচা ঘোষের ক্রিকেট যাত্রা যেন এক অনুপ্রেরণার উপাখ্যান। বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতীয় মহিলা দলের জয় এনে ইতিহাস গড়লেন শিলিগুড়ির এই তরুণী। আর তাঁর ঝুলিতে যোগ হল এক অনন্য কৃতিত্ব— গোটা টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড!
advertisement
2/5
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপের ম্যাচে ৭৪ বলে ঝোড়ো ৯৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রিচা। সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রাখেন ফাইনালে— ২৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেয়। খেলার শেষে চোখে জল, মুখে হাসি— আবেগে ভেসে রিচা বলেন, “স্বপ্ন সত্যি হল। আমরা এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আমি কী অনুভব করছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এই দিনটারই অপেক্ষা করছিলাম।”
advertisement
3/5
রিচার ক্রিকেটের শুরু শিলিগুড়ির বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবে। বয়স তখন মাত্র চার। বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ (গবা)-এর হাত ধরে পৌঁছে গিয়েছিলেন কোচ গোপাল সাহা-র কাছে। গোপালবাবু স্মৃতিচারণা করেন— “তখন আমার দলে কোনও মেয়ে খেলোয়াড় ছিল না। রিচা একা ছেলেদের সঙ্গে অনুশীলন করত। ওর মধ্যে লড়াই করার মানসিকতা ছোট থেকেই ছিল। এখনো যখন শহরে ফেরে, মাঠে এসে ছেলেদের সঙ্গে অনুশীলন করে।” এই দৃঢ়তা আর নিষ্ঠাই আজ তাকে তুলেছে বিশ্বের সেরাদের কাতারে।
advertisement
4/5
শিলিগুড়ির কোচ বরুণ ব্যানার্জি, যিনি রিচার বিকাশের পথচলার সঙ্গী, জানালেন— “রিচা শুধু দক্ষ ব্যাটার নয়, নেতৃত্বগুণও ওর মধ্যে আছে। আমি বিশ্বাস করি, একদিন ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন হিসেবেও ওকে দেখব।” শহরের নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটার শিল্পা রায় বলেন, “রিচা দিদি আমাদের অনুপ্রেরণা। ওর সাফল্য দেখেই আমরা স্বপ্ন দেখি— একদিন আমরাও দেশের হয়ে খেলব।”
advertisement
5/5
বিশ্বজয়ের রাত কেবল ভারতের নয়, শিলিগুড়িরও উৎসব। কারণ এই শহরের মেয়েই আজ দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। রিচা ঘোষ প্রমাণ করে দিলেন— মনের জোর থাকলে কোনও স্বপ্নই দূর নয়। ছোট্ট শহরের মাটি থেকে উঠে এসে বিশ্বকাপের মঞ্চে দাঁড়িয়ে রিচা যেন বলে দিলেন— “অসম্ভব বলে কিছু নেই।” Input- Rittick Bhattacharya