বর্তমান যুগে বাচ্চাদের মধ্যে বেশি সমস্যা দেখা যাচ্ছে মোবাইলের প্রতি আসক্তি৷ গত কয়েক মাস হল,৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এই সেন্টার৷ হাওড়া ছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয় গুলোতে ফ্রিতেই এই পরিষেবা দেওয়া হয়। একসময় নিজের ছেলের সমস্যার সমাধান করতে বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন শিক্ষিকা অর্পিতা ঘোষ রায়। বহু টাকা খরচ করে ছেলেকে সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি চিন্তা করেন, সাধারণ পরিবারের ছেলে মেয়েদের এমন সমস্যা হলে তারা কিভাবে সুস্থ হবে? মনে এই প্রশ্ন ছিল বরাবর।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
ছেলেকে সুস্থ করতে গিয়ে চাইল্ড কাউন্সিলিং এ জ্ঞান অর্জন করতে প্রথমে বই পড়তে শুরু। তারপর প্রশিক্ষণ নেওয়া। বর্তমানে তারা সুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা চাইল্ড কাউন্সিলিং এ ডক্টরেট হয়েছেন। সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা দূর করতে ‘উইস’ নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠা। ইতিমধ্যেই কাজের সুবাদে জেলায় বেশ সুনাম পেয়েছে এই সংগঠন। এই কর্মকাণ্ডে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা।
বর্তমান সময়ের সর্বাধিক যে সমস্যা দারুণ ভাবে বেড়ে চলেছে। তা হল ডিজিটাল আসক্তি। শিশুদের ডিজিটাল আসক্তি কাটাতে চাইল্ড কাউন্সিলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইতিমধ্যেই বহু স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে সুস্থ করেছেন। তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে। শুধু শিক্ষকতা নয় এমন কাজ করে মানসিক তৃপ্তি মেলে বলেই জানিয়েছেন তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা অর্পিতা ঘোষ রায়।
তিনি আরও জানান, বহু ছাত্র-ছাত্রী এই সমস্যায় ভুগছিল। যা কয়েকটি কাউন্সেলিং এর পর তারা সুস্থ এবং সাধারণভাবে জীবন যাপন করছে। বাচ্চাদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য মানসিক সুস্থতা সবার আগে দরকার৷ আর তাই তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা অর্পিতা ঘোষের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই৷
রাকেশ মাইতি





