কিন্তু আজ সেই ছন্দ ক্রমশ ম্লান হয়ে যাচ্ছে। আধুনিকতার ঢেউয়ে কামারদের পেশা যেন নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে দিন দিন। তবু গ্রামবাংলার ধান কাটার দু’টি মরশুম সেই হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিকে সামান্য হলেও ফিরিয়ে আনে। কবিঠাকুরের লাল মাটির শহর বোলপুর শান্তিনিকেতনে হাতেগোনা যে কয়েকটি জায়গায় কামারশালের এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়, তারই একটি বোলপুরের সিয়ান-মুলুক পঞ্চায়েতের গয়েশপুরের রাজেন কর্মকারের ছোট্ট কামারশালা।
advertisement
সামনে নবান্ন, তাই তিনি ব্যস্ত কৃষকদের জন্য কাস্তে তৈরি করতে। হাতের শ্রম, মাটির গন্ধ, লোহার তাপ সব মিলিয়ে তার প্রতিটি আঘাতে ফুটে ওঠে জীবনের গল্প। কিন্তু সেই গল্পের ভাঁজে আছে চিন্তার ছায়া। কাজ আগের মতো নেই, তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদি এমনই চলতে থাকে, একদিন শুধু গল্পে, ছবিতে আর স্মৃতিতে বেঁচে থাকবে হাতুড়ি দিয়ে লোহা পেটানোর সেই প্রাণবন্ত ঠুকঠাক আওয়াজ। কামারশালার ধোঁয়া, আগুন, আর শিল্পের নিবিড় মুহূর্তগুলো হারিয়ে যাবে সময়ের স্রোতে। সময় কী শুধুই এগিয়ে যাচ্ছে নাকি আমরা অজান্তেই এক এক করে হারিয়ে ফেলছি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। এর উত্তরও সময়েরই হাতে।





