পূর্ব বর্ধমানের এই চাষি পায়রা পদ্ধতিতে ডাল শস্য চাষ করেছেন। পায়রাদের যেভাবে খাবার ছিটিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক সেরকমই এই চাষে জমিতে ডাল শস্যের বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয়।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
পালিটা গ্রামের চাষি উদয়ন ঘোষ জানিয়েছেন, \”আমি এটা পায়রা চাষ করছি । বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনে প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় এই বিষয়ে জেনেছিলাম। ধান গাছ যখন জমিতে থাকে, সেই অবস্থায় ধান কাটার ৫-৭ দিন আগে বীজ ছড়িয়ে দিতে হয়। ধান কাটার পরে সেই ধান জমিতে মিলে দিতে হবে। জমি প্রস্তুত করার পর বীজ ছড়ালে পাখিতে বীজ খেয়ে চলে যায়। এই পদ্ধতিতে পাখিতে বীজ খাওয়ার ভয় থাকে না। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে খরচ কিছুই নেই।
advertisement
অল্প সময়ে , স্বল্প খরচে অধিক ফলন পাওয়া যাবে।\”
এই পদ্ধতিতে চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে হয় না। ধান কাটার কয়েকদিন আগে জমিতে ধান থাকা অবস্থায়, ডাল শস্যের বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। ধান কাটা হয়ে গেলেই ধীরে ধীরে গাছ বড় হতে শুরু করে। কয়েকদিনের মধ্যেই পাওয়া যায় ফলন। পায়রা পদ্ধতিতে চাষ করলে ১ বিঘা জমি থেকে প্রায় ১ কুইন্টাল অথবা দেড় কুইন্টাল ফলন পাওয়া সম্ভব। বীজের সঙ্গে অল্প কিছু সার ছড়িয়ে দিলে আরও ভাল ফলন পাওয়া যাবে।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সার ছেটানোর প্রয়োজন হয়না। সাধারণ পদ্ধতিতে চাষ করলে যে সময় লাগবে, তার থেকে এই পদ্ধতিতে চাষ করলে অনেক কম সময়ে ফলন পাওয়া যাবে।
চাষিদের আলাদা করে জমি প্রস্তুত করতে হয় না। যে কারণে চাষের খরচ অনেক কমে যায়। এছাড়া আলাদা করে সেচেরও কোনও প্রয়োজন হয় না। কম সময়েই ফসল ঘরে তুলতে পারেন চাষিরা। সাধারণ চাষিদেরও বর্তমানে এই চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী






