এই বিষয়ে ফুল বিক্রেতা রাজকুমার দাস বলেন,”নদিয়ার নবদ্বীপ, রানাঘাট, শান্তিপুর, চাকদা এলাকার চাষিরা এই মৌসুমে প্রচুর গোলাপ উৎপাদন করেন। সাধারণত বিয়ের মরশুমে এই ফুলের চাহিদা থাকে তুঙ্গে, কিন্তু চৈত্র মাসে সে বাজার একেবারেই মন্দা। ফলে জমিতে পড়ে নষ্ট হওয়ার বদলে চাষিরা জলের দরে ফুল বিক্রি করতে বাধ্য হন। সেই ফুলই অমরা কিনে এনে বর্ধমানের বাজারে বিক্রি করছি। আর ক্রেতারা কম দামে পাচ্ছেন, তারাও অনেক আনন্দিত হচ্ছেন।”
advertisement
আরও পড়ুন : বর্ধমানে বেনারসের ছোঁয়া! কঙ্কালেশ্বরী মন্দিরে শুরু হয়েছে সন্ধ্যা আরতি
কম দামে এতগুলো গোলাপ পেয়ে হাসি ফুটেছে অনেকের মুখে। কেউ বলছেন, “সরস্বতী পুজোর সময় তারা একটা গোলাপ ৫০ টাকায় কিনেছিলেন, আর এখন পুরো এক তোড়া পাচ্ছেন সেই একই দামে!” গোলাপবাগ চত্বরে বেশ কিছু বিক্রেতা এই গোলাপ ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। সকাল থেকে একেবারে রাত অবধি চলছে গোলাপ বিক্রি। পথচলতি শত শত মানুষ গোলাপ কিনছেন, এছাড়াও বর্ধমান লাগোয়া দূর দুরান্তের গ্রাম থেকেও বহু মানুষ আসছেন শুধু গোলাপ কিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। গোলাপকিনতে এসে শুভ্রা মণ্ডল বলেন, অন্য সময় দাম অনেক বেশি থাকে। এখন অনেক সস্তায় পেলাম, এটা বেশ ভাল ব্যাপার।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
তবে আপাতত বর্ধমান শহরে চৈত্র সেলের উন্মাদনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে লাল গোলাপের বাজার। পোশাক, জুতো, বাসনপত্রের মতএবার সেই তালিকায় যোগ হয়েছে এই সৌন্দর্যের প্রতীক লাল গোলাপ। তবে সস্তায় ভালোবাসার এই অফার কিন্তু বেশিদিন থাকবে না, তাই চাইলে এখনই কিনে নিতে পারেন নিজের পছন্দের মানুষের জন্য। এখনও বেশ কয়েকটা দিন এই কম দামে লাল গোলাপ পাওয়া যাবে বলেই জানা গিয়েছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





