আরও পড়ুন: আপনি চাষ করেন? তাহলে অবশ্যই এই বিমা করুন, প্রিমিয়াম দেবে সরকার
বিষমুক্ত খাদ্য বাজারে এসে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে নানান সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নিয়েছিলেন। কিষান স্বরাজ সমিতির বিভিন্ন কৃষকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন, তাঁদের দেশের চাষ এবং এ দেশের চাষের মধ্যে বিভিন্ন বৈষম্য নিয়ে কথাও হয়। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আদান প্রদান করেন নিজেদের মধ্যে। সরকারি ভূমিকা এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতা নিয়েও আলাপচারিতা হয় নিজেদের মধ্যে।
advertisement
তাঁদেরই আমন্ত্রণে এবার নদিয়ার বেশ কিছু কৃষি বিশেষজ্ঞ ঘুরে এলেন বাংলাদেশ থেকে। শান্তিপুর থেকে কিষান স্বরাজ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা শৈলেন চন্ডি ফিরে এসে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন আমাদের। তিনি বলেন, সারা বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার সঙ্গে ভৌগোলিক পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে। আর তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে উঠতে না পারলে কৃষিতে অনাগ্রহ তৈরি হবে দীর্ঘদিনের চাষিদের। অন্যদিকে নতুন প্রজন্ম নানান রকম পেশায় যুক্ত হয়ে যাবে, কৃষিকাজে এগিয়ে আসবে না। তাই দেশীয় বীজ, দেশীয় পদ্ধতিতে কেমিক্যাল এবং রাসায়নিক বাদ দিয়ে জৈব সার দিয়ে চাষ করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
শান্তিপুরে গড়ে ওঠা বিষমুক্ত খাদ্য বাজারে দিনের পর দিন ক্রেতাদের ভিড় দেখলে বোঝা যায় ছোট্ট একটি অংশ হলেও সচেতন নাগরিক আছেন। তবে এক্ষেত্রে কৃষকদের অনুপ্রাণিত করতে এবং ক্রেতাদের প্রয়োজন মাফিক ফসল উৎপাদন করতে সরকারি সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। তবে দুই দেশের মধ্যে এই যোগাযোগের ফলে জাপানের একটি নতুন প্রজেক্ট কার্যকর হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। তার ফলে কিছুটা হলেও জৈব চাষের প্রচার এবং প্রসার ঘটবে।
মৈনাক দেবনাথ