চন্দননগরের বারাসাত এলাকার বাসিন্দা মুন্নি ধারা। বয়স কম করে পঞ্চাশের দোরগোড়ায়। তাঁর স্বামী পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। বাড়িতে থাকেন তিনি তাঁর ছেলে, তাঁর স্বামী ও তাঁর এক নাতনি। ছেলেও স্কুলে পড়ে। ছেলের পড়াশোনা বাড়ির খরচ ও নাতনির খরচ সামলানোর জন্য তিনি একটি ভাড়ার টোটো চালান। সংসার সামলিয়ে তিনি টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রোজগারের তাগিদে। তবে, বাড়িতে তাঁর আর কেউ নেই যে তাঁর ছোট নাতনিকে সামলাবে। তাই টোটো চালানোর সময় ছোট্ট দেড় বছরের নাতনি কে সঙ্গে করে নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন রোজগারের তাগিদে।
advertisement
চন্দননগর ভদ্রেশ্বর মানকুন্ডু এই সমস্ত জায়গায় তিনি টোটো নিয়ে ভাড়া খাটেন। তার সঙ্গে যে নাতনি থাকে সে হলতার মেয়ের মেয়ে। অভাবের সংসারে তাই ছোট নাতনিকে সঙ্গে করে নিয়েই বেরিয়ে পড়তে হয় টোটো চালাতে। এই বিষয়ে ওই মহিলা মুন্নি ধারা বলেন, তাঁদের নিজস্ব কোন বাড়ি নেই তাঁরা ভাড়ার বাড়িতে থাকেন। স্বামী সামান্য রাজমিস্ত্রির কাজ করে তাতে তাঁর যে উপার্জন হয় তা দিয়ে দুবেলা সংসার খরচ জোটে না। তাই সংসারের হাল ধরতে বিগত দুবছর যাবত তিনি বেরোচ্ছেন টোটো নিয়ে। তাঁর দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে তাঁর মধ্যে এক মেয়ের মেয়ে থাকে তাঁর কাছে। সেই নাতনিকে নিয়েই মুন্নি বেরিয়ে পড়েন কাজে। কারণ কাজ না করলে তাঁর সংসার চলবে না। আর বাড়িতে কেউ থাকে না যে তার নাতনিকে দেখবে। তাই তিনি যখন কাজে বেরন তখন সঙ্গে করে নিয়ে আসেন তাঁর ছোট্ট দেড় বছরের নাতনিকে।
মুন্নির জীবন সংগ্রামের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকার অন্যান্য মহিলারা। এলাকার স্থানীয় এক মহিলা তিনি জানান, বর্তমান সময়ে যখন ছেলে মেয়েরা মা-বাবাকে দেখে না সেখানে নিজের নাতনির জন্য যে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তার দিদা তা সাধুবাদ যোগ্য।
রাহী হালদার





