১৮৯১ সালের ৭ পৌষ ব্রহ্মমন্দির যা বর্তমানে উপাসনা গৃহ নামে পরিচিত, সেটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটিকেই শান্তিনিকেতনে পৌষ উৎসবের সূচনার সময় হিসাবে ধরা হয়। ১৮৯৪ সালে পৌষ উৎসবের পাশাপাশি মন্দির সংলগ্ন মাঠে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। ১৮৮৮ সালের ৮ মার্চ মহর্ষি ট্রাস্ট-এর ডিড-এ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর পৌষমেলা সম্পর্কে স্পষ্ট উল্লেখ করে গিয়েছেন যে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট প্রতি বছর একটি মেলার আয়োজন করবে।
advertisement
তিনি উল্লেখ করে গিয়েছিলেন এই মেলা মূলত, সব ধর্মের মানুষের এক মহৎ মিলন ক্ষেত্র হবে, কোনও প্রকার মূর্তি পুজো হবে না, মদ-মাংস ব্যতীত এই মেলায় সবরকম খাবার বেচা-কেনা হবে। এর পাশাপাশি নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করা হবে। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই ডিড-এ আরও বলা রয়েছে, এই মেলা থেকে কোনও প্রকার আয় হলে সেই টাকা আশ্রমের উন্নতিকল্পে ব্যয় করা হবে।
১৯৪৩ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ, মহামারীর জন্য প্রথম পৌষমেলা বন্ধ রাখা হয়। ১৯৪৪ সাল থেকে মেলার সময় সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়। ১৯৫০ সালে মেলার পরিসর বৃদ্ধি হওয়ার কারণে ব্রহ্মমন্দিরের পরিবর্তে ছাতিমতলায় উপাসনা শুরু হয়। এর পর ১৯৬১ সালে এই পৌষমেলার স্থান পরিবর্তন হয়। মন্দির সংলগ্ন মাঠ থেকে মেলা পূর্বপল্লির মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে আজও নিয়ম মেনে পৌষ মেলার আয়োজন করা হয়। যদিও করোনা মহামারীর সময় বন্ধ রাখা হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা।





