Digha Tourist Places: দিঘা তো বহুবার এসেছেন! কিন্তু জগন্নাথ মন্দিররের আড়ালে এই বাগানটি দেখেছেন? মুগ্ধ হবেন

দিঘায় তো বহুবার এসেছেন, জগন্নাথ মন্দিরে পুজোও দিয়েছেন। কিন্তু দিঘার আড়ালে থাকা এই ভেষজ উদ্যানটি অনেকেরই নজর এড়িয়ে যায়। পুরোনো জগন্নাথ মন্দির বা মাসির বাড়ি যাওয়ার রাস্তার উল্টো দিকে কিছুটা এগোলে চোখে পড়ে দিঘার হার্বাল গার্ডেন, চারপাশ শান্ত। আর গার্ডেনের সবুজ পরিবেশ আপনার মন জয় করবে। ভেতরে ঢোকার পর মনে হয়, যেন অন্য এক জগতে চলে এসেছেন। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)

এই উদ্যানে রয়েছে মোট ১৬৫ প্রজাতির ভেষজ গাছগাছড়া। প্রতিটি গাছ আলাদা আলাদা করে চিহ্নিত‌ করা। বন বিভাগের সিলভিকালচার বিভাগের অধীনে উদ্যানটি পরিচালিত হয়, মূল অফিস মেদিনীপুরে। সেখান থেকেই পুরো মনিটরিং চলে। পর্যটকরা এখানে এসে গাছের নাম, গুণাগুণ এবং ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারেন। শিক্ষার্থীরাও এখানে আসে। বিশেষ করে আয়ুর্বেদ বিভাগের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা প্রায়ই এই উদ্যানে এসে গাছ নিয়ে চর্চা করে।

এক বছর আগে এই ভেষজ উদ্যানটি নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে, সুন্দর একটি গেট তৈরি হয়েছে। ভিতরে পেভওয়ে রয়েছে। বেড বানিয়ে জিআই তার দিয়ে ছোট গাছগুলিকে সুরক্ষিত ও সুন্দর সাজিয়ে তোলা হয়েছে। চারদিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। নানান প্রজাতির ভেষজ উদ্যানে আপনি হারিয়ে যাবেন উদ্ভিদ জগতে।

উদ্যানে ঢুকতেই দেখা যায় বড় বড় বোর্ড। সেখানে গাছের নাম ও গুণাগুণ লেখা রয়েছে। কালমেঘ, পাথরকুচি, নয়নতারা, ঘৃতকুমারী, লালশিরা, রামবাসক, বিশল্যকরণী, ওলটকম্বল, রামতুলসী, সর্পগন্ধা, সঞ্জীবনী, থানকুনি, পুদিনা, আকন্দ, কাকমাচী, ঘোড়াবচ—এমন অসংখ্য গাছ রয়েছে এখানে। প্রতিটি গাছের সামনে ছোট বোর্ডে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া আছে। যাতে দেখে বুঝতে সুবিধা হয়।

উদ্যানের পরিবেশ খুবই সবুজ ও শান্ত, চারদিকে গাছের ছায়া। কিছু গাছ লতানো, কিছু মাটির কাছাকাছি, আবার কিছু অনেক উঁচু। সব মিলিয়ে এই বাগান আপনার নজর কাড়বেই। বাগানে ঢুকলেই মন ভাল হয়ে যায়। পর্যটকেরা দিঘায় এই হার্বাল গার্ডেনে একটু সময় কাটিয়ে স্বস্তি পান। গাছগুলি খুব সুন্দরভাবে সাজানো। অনেকেই ক্যামেরা বন্দি করে সুন্দর এই ভেষজ উদ্যানের দৃশ্য।

এই ভেষজ উদ্যানটি দেখভাল করেন তিনজন কর্মী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেয়ারটেকার, অরণ্যসাথী ও বনসহায়ক। প্রতিদিন তাঁরা গাছগুলো পরিচর্যা করেন। আগত পর্যটকদের গাইড করেন। কেয়ারটেকার তাপস জানা জানান, তাঁরা সবসময় উদ্যানটিকে সুন্দর রাখার চেষ্টা করেন। পর্যটকদেরও গাইড করেন। আরও কিছু উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা রয়েছে। ধীরে ধীরে কাজ হবে। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)