ইংরেজ আমলের কথা, দেশে তখন স্বদেশী আন্দোলনের জোয়ার। দিকে দিকে বর্জন করা হচ্ছে বিদেশী পণ্য। পিছিয়ে ছিল না এই নন্দীবাড়ির পুজোও। ঠাকুরের গায়ের রেশমের পোশাক বর্জন করে মাটির সাজ নিয়ে আসা হয়। তখনই এই পুজো আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এলাকায়।
আরও পড়ুন: পুজোরে আগে ফের একটি রুটে টোটো বন্ধের নির্দেশ! চালকদের বিক্ষোভ চরমে
advertisement
এই বাড়ির সদস্য গান্ধিজির শিষ্য এলাকার স্বাধীনতা সংগ্রামী ললিত মোহন চক্রবর্তী স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে জেলে গিয়েছিলেন। তাঁকে জেল থেকে ছাড়িয়ে ষষ্ঠীর দিনে এই বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস।
পুজোর ইতিহাস আরও পুরোনো, প্রায় ১৪২ বৎসর আগে টোলের পন্ডিত রাম ব্রহ্ম চক্রবর্তীর জ্ঞানে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে নন্দী উপাধিতে সম্মানিত করেছিলেন নবাব আলীবর্দী খাঁ। তাঁকে ৩০০ বিঘা জমিও দান করেন নবাব। সেই থেকে ডায়মন্ড হারবারের নেতড়া গ্রামের চক্রবর্তী পাড়া আজও নন্দীপাড়া হিসেবে পরিচিত। কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রেরণায় পটে আঁকা ছবি দিয়ে ঘট পুজোর মাধ্যমে দেবীর আরাধনা শুরু হয় চক্রবর্তী বাড়িতে।
সে সময়কার ৮৭৫ টাকা দেয় জাঁকজমক করে বোধন হয়। দুর্গাপুজোর জন্য আলাদা করে তৈরি করা হয়েছিল দালান বাড়ি। গ্রামের সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে বসিয়ে খাওয়ানো হত। তার পর থেকে বংশপরম্পরায় চলে আসছে চক্রবর্তী বাড়ির পুজো। মূল পুজোর ১৫ দিন আগে থেকে শুরু হয় এই পুজো, ভোগ দেওয়া হয় তিনবার। এখনও এই নিয়মে চলে পুজো। এই পুজো জুড়ে দেয় অতীত ও বর্তমানের সমস্ত ইতিহাস।
নবাব মল্লিক