মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁর আদর্শ। মাহির মত ম্যাচ ফিনিশার হতে চান। একাধিক সাক্ষাৎকারে এই কথা শোনা গিয়েছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের উইকেট কিপার-ব্যাটার রিচা ঘোষের কাছ থেকে। রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে ম্যাচ উইনিং ইনিংসটা খেললেন বঙ্গতনয়া তারপর বলাই যায় ফিনিশার ধোনির মত অনেকটা গুনই রপ্ত করে ফেলেছেন রিচা। ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংসটাই যে ভারতের ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়েছে তা নিয়ে দ্বিমত নেই কারও।
advertisement
কিছুদিন আগেই মেয়েদের অনুর্ধ্ব ১৯ টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলে গুরুত্ব পূর্ণ রোল প্লে করেছিলেন রিচা ঘোষ। দেশে ফিরে সংবর্ধনার পরই ফের উড়ে যেতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। তিতাস সাধু ও ঋষিতা বসুরা বাড়ি ফিরলেও ঘরে ফেরা হয়নি শিলিগুড়ির মেয়ের। কিন্তু ব্যাক টু ব্যাক দুটো বিশ্বকাপ খেলার কোনও ধকল বা ক্লান্তি নিজের পারফরম্যান্সে এতটুকু পড়তে দেননি রিচা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে ম্যাচ ফিনিশ করলেন বঙ্গতনয়া তা এখনও পর্যন্ত কেরিয়ারের অন্যতং সেরা ইনিংস।
এই জয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সকলে কিন্তু এখনি হাল ছেড়ে না দিয়ে বিশ্বকাপের দিকে লক্ষ্য রাখার কথা জানালেন রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ। দিনের পর দিন খেলায় উন্নতি করে চলেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের নির্ভরশীল উইকেট কিপার ব্যাটার রিচা ঘোষ। টি ২০ বিশ্বকাপে দলে জায়গা পেয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার পারফরম্যান্স আগামী খেলাগুলোতে সাহস জোগাবে বলে মনে করছে গোটা ক্রিড়াজগৎ।
আরও পড়ুনঃ India vs Pakistan: জেমিমা-রিচা-শেফালির দুরন্ত ব্যাটিং, পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিল ভারত
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, "এই ধরনের খেলাই আমরা সবাই চাই। একটা একটা করে ধাপ পেরোতে হবে। আনন্দ তো খুব। কিন্তু মূল লক্ষ বিশ্বকাপ। ওটাই চাই। এইসব আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা মুশকিল। এখন অপেক্ষা করছি বিশ্বকাপ ঘরে আনার জন্য। আনন্দ থাকলেও একটু তো চিন্তা হবেই।" খেলার পর মেয়ের সঙ্গে ফোনেও কথা হয়েছে মানবেন্দ্রবাবুর। ফোনে মেয়েকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। তবে চিন্তার কারণে খেলা দেখেননি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলার পরও মাটিতে পা রিচা ঘোষের। অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয় জেতার পর এবার সিনিয়র দলের হয়েও একই কাজ করতে চান তিনি। সেই শুরুটা পাক ম্যাচ থেকেই শুরু করে দিলেন রিচা। মেয়ের সাফল্যে খুশি শিলিগুড়িতে রিচার পরিবার। একইসঙ্গে রিচার একের পর এক কর্মকাণ্ডে গর্বিত গোটা বাংলা।
অনির্বাণ রায়