আরও পড়ুনঃ সারা দেশে বাজির দৌরত্ম্য, গ্যাস চেম্বারে পরিণত দিল্লি ! ‘কলকাতাতে অনেকটাই কম দূষণ…’ জানালেন সিপি
ভিডিও কলের মাধ্যমে দিঘা জগন্নাথ মন্দির থেকে ভোগ অর্পণ করা হয় নৈহাটির বড়মাকে। আর সেই মহেন্দ্রক্ষণ দিঘা ও নৈহাটির মানুষজনের কাছে হর্ষ উল্লাসে পরিণত হল। দীপান্বিতা অমাবস্যার সন্ধ্যায় মিলে গেল রাজ্যের দুই তীর্থক্ষেত্র। ভিডিও কলের মাধ্যমে দিঘা জগন্নাথ দেবের ভোগ পৌঁছে গেল নৈহাটির বড়মার কাছে। সোমবার সন্ধ্যায় এক অপরূপ মহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষ্মী থাকলেন দিঘা ও নৈহাটির মানুষজনেরা। উল্লেখ্য, জগন্নাথ দেবের ভোগ সর্বপ্রথম দেবী বিমলাকে অর্পনের রীতি রয়েছে।
advertisement
মা বিমলাকে ভোগ অর্পনের পরেই জগন্নাথের ভোগ মহাপ্রসাদে পরিণত হয়। মা কালী হলেন দেবী বিমলার অপর আরেক রূপ। তাই সোমবার সন্ধ্যায় সর্বপ্রথম নৈহাটির বড়মাকে ভোগ অর্পণ করা হয়। এদিন এই আধ্যাত্মিক সংযোগের সাক্ষ্মী থাকতে বহুদূরান্তের ভক্তরা ভিড় জমান দিঘা জগন্নাথ ধামে। ধনতেরাসের দিন থেকেই দিঘা জগন্নাথ ধামে বিশেষ পুজো পাঠ শুরু হয়েছে। সোমবার অমাবস্যা তিথিতে সেই পুজোয় নৈহাটির বড়মার উপস্থিতি এক বিশেষ মাত্রা নেয়।
ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রায় আধঘন্টা ধরে একই সঙ্গে দুই মন্দিরের মধ্যে চলে ধর্মীয় কার্যক্রম। দিঘা জগন্নাথ ধাম ট্রাস্টের সদস্য রাধারমন দাস বলেন, “বড়মা হলেন বিমলা দেবীর আরেক রূপ। তাই জগন্নাথের ভোগ দীপান্বিতা অমাবস্যার সন্ধ্যায় বড়মাকে অর্পণ করা হল। যা দিঘা জগন্নাথ ধামে থাক ঐতিহাসিক নজির বলা চলে। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা নৈহাটির বড়মার মন্দির এবং দিঘা জগন্নাথ ধামের সংযোগ করি।”
এদিন সন্ধ্যা প্রায় সাতটা নাগাদ আরতি শুরু হয়। একই সঙ্গে নৈহাটির বড়মা এবং জগন্নাথ ধামের বিমলা দেবীর আরতি করা হয়। ভিডিও কলের মাধ্যমে জুড়ে যায় নৈহাটির বড়মা এবং দিঘার জগন্নাথ ধাম। এদিন ১০০৮টি মাটির প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়, গোটা জগন্নাথ ধাম।
এদিন প্রথমে প্রায় মিনিট পনেরো ধরে চলে আরতি পর্ব। এরপর মা বিমলার আরেক রূপ নৈহাটির বড়মাকে ভোগ অর্পণ করা হয়। ভোগে খিঁচুড়ি, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টানের পাশাপাশি ছিল বাংলার স্পেশাল নারকেল নাড়ু। প্রযুক্তির সাহায্যে বাংলার দুই তীর্থক্ষেত্র মিলে গেল দীপান্বিতা অমাবস্যার সন্ধ্যায়।