এই অভিনব উদ্যোগের নাম ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোর’। পরিবেশ রক্ষার বার্তা ছড়াতে এবং শিশুদের সমাজসচেতন করে তুলতে এই অনন্য প্রকল্পের সূচনা করেছে সুইট হোম চিলড্রেন সেন্টার এবং শিলিগুড়ি তারুণ্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ভাবনাটা সরল, যে কেউ পুরনো প্লাস্টিক সামগ্রী জমা দিলেই পাবে উপহার।
advertisement
উদ্যোক্তা কৌস্তুভ দত্ত বলেন, “শিলিগুড়ির বালাসন ও মহানন্দা নদী প্রতিদিন আরও দূষিত হচ্ছে। আমরা চাই, নদী রক্ষার আন্দোলন শিশুদের হাত থেকেই শুরু হোক। তাঁরা শুধু প্লাস্টিক তুলছে না, এক অর্থে ভবিষ্যতের জন্য পরিবেশ রক্ষা করছে।”
এই প্রকল্পে মূলত বালাসন নদী সংলগ্ন নিমতলা এলাকার শিশুরা যুক্ত হয়েছে। তাঁরা প্রতিদিন নদীর ধারে যায়, তাই প্লাস্টিক সংগ্রহ তাঁদের কাছে কঠিন নয়। নদীর জলে ভেসে আসা বোতল, প্যাকেট, মোড়ক, সব কিছু তাঁরা স্টোরে কুড়িয়ে নিয়ে আসে। সেখানে জমা দিলে বিনিময়ে পাওয়া যায় খাতা, পেন, পেনসিল, বই সহ পড়াশোনার সামগ্রী।
প্রতি মাসে দু’দিন করে শিশুদের কাছ থেকে এই প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হবে। যে শিশু যত বেশি প্লাস্টিক আনবে, সে তত বেশি উপহারও পাবে। এতে শুধু নদী ও আশেপাশের পরিবেশই পরিষ্কার হবে না, ছোটদের মধ্যেও জন্ম নেবে দায়িত্ববোধ ও স্বনির্ভরতার অনুভূতি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে শিলিগুড়ির অন্যান্য এলাকাতেও এই প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁদের আশা, এই উদ্যোগ শহরের নতুন প্রজন্মকে পরিবেশ রক্ষার পাঠ শেখাবে নিজের কাজের মাধ্যমেই। কাওয়াখালীর ওই ছোট্ট স্টোর আজ যেন এক বড় শিক্ষা দিচ্ছে, “যদি আমরা প্রকৃতিকে রক্ষা করি, প্রকৃতিও একদিন আমাদের রক্ষা করবে।”