বুধবার কলকাতা থেকে বাগডোগরা পৌঁছন সোনার মেয়ে রিচা। আর নিজের শহরের মাটিতে পা রাখতেই উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভাসলেন রিচা। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।
সেখান থেকে হুড খোলা গাড়িতে বাড়ি পৌঁছন রিচা। মাঝে শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর নিজের বাড়িতে যান রিচা ৷ তাঁর বাড়ি ফেরাকে ঘিরে এদিন উৎসবের মেজাজ ছিল কলেজপাড়ায় ৷ রিচাকে স্বাগত জানাতে গোটা এলাকাবাসী এদিন তাঁর বাড়িতে ভিড় জমায়। বাড়িতে মেয়ের জন্য স্পেশ্যাল রান্নাও করেন রিচার মা স্বপ্না ঘোষ। ডাল, ভাত, আলুভাজা, ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন। সঙ্গে ছিল চাটনি। আপাতত কয়েক দিন শিলিগুড়িতে বাড়ির লোকেদের সঙ্গেই সময় কাটাবেন রিচা। সেখানেই প্রশিক্ষণ করবে তিনি। সামনে বাংলাদেশ সফর রয়েছে বলে জানিয়েছেন রিচা।
advertisement
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডব্লিউপিএল নিয়ে রিচা ঘোষ বলে, ‘‘এই খেলাটা অনেক বড় খেলা। যারা ডোমেস্টিক খেলোয়াড় তাদের আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় ও খেলার সঙ্গে অনেক ব্যবধান থেকে যায়। সেই জায়গায় এই খেলাটা অনেক সুবিধা করে দেবে। আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের থেকে অনেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে। এটা প্রথমবার হল। ধীরে ধীরে আরও ভাল পারফরম্যান্স হবে। তবে হার্ড ওয়াক করতেই হবে৷" রিচা জানান, তাঁরা ভাল খেললে আগামী প্রজন্মের জন্য অনেক সুবিধা হবে। তবে ডব্লিউপিএল-এ ড্রেসিংরুমে বিরাট কোহলিকে পাওয়াটা বাড়তি পাওনা ৷ তাঁর দেওয়া পরামর্শ অনেক কাজে লেগেছে বলে জানান রিচা।
তবে একইসঙ্গে শহরে খেলার মাঠের অভাব ও পরিকাঠামো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন রিচা। তিনি জানান, ‘‘মাঠের অভাব তো রয়েছে। মাঠ হলে শুধু মেয়েরা নয়, ছেলেদেরও সুবিধা হবে। শহরের ছেলেরা জেলা স্তরে খেলার পর তেমন কিছু করতে পারছে না। মাঠ হলে সবারই ভাল হবে। এখন কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও অনেক কাজ করতে হবে। তার জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।’’ রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের আর চাওয়ার কিছু নেই। আমি শুধু চাই আগামী দিনেও রিচা নিজের সেরাটা দিক।’’
অনির্বাণ রায়