আরও পড়ুন Durga Puja Carnival 2022: জমজমাট কার্নিভাল, শুরুতেই হড়পায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা
সাধারণত সমাজজীবনে প্রচলিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও গৃহসজ্জার জন্য আলপনা আঁকা হয়।আলপনা একধরনের বিমূর্ত রেখা চিহ্ন-যার অর্থ কিন্তু গভীর। অনেকক্ষেত্রে এই আলপনায় উঠে আসে জাতীর পরিচয়। সারাবছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা পুজোতে আলপনা আঁকলেও লক্ষ্মী পুজোতে আলপনা আঁকার একটা বিশেষ রীতি রয়েছে৷ লক্ষ্মী পুজোর দিন মা লক্ষ্মী ঘরে ঘরে হাজির হন। তাই বাড়ির সব জায়গায় আঁকা হয় মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ।
advertisement
সময় বদলে গেলেও আলপনা দেওয়ার রীতি বদলায়নি। তবে এখন অনেকেই নিজের হাতে আলপনা আঁকতে পারেন না সময়ের অভাবে বা না শেখার কারণে৷ তাই অনেকেই রেডিমেড বা স্টিকার জাতিয় আলপনা কিনে বাড়িতে ব্যবহার করেন৷ অতীতকালে লক্ষ্মী পুজোর দিনে আলাপনা আঁকা নিয়ে অনেক নিয়ম ছিল, নীতি ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেসব আর নেই৷ সব রীতি—নীতি,নিয়ম—আচার বদলে গেছে৷ এখন বাজারে পাওয়া যায় রেডিমেড আলপনার স্টিকার ।আর সেটাই ব্যবহার করছে সকলে। যার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার আলপনা শিল্পের ঐতিহ্য।
আরও পড়ুন Durga Puja Carnival 2022: বীরভূমে হইচই! দুর্গাপুজোর প্রথম কার্নিভালে উপচে পড়া ভিড়
তবে এখনও অনেক মহিলা তাদের এই শিল্পকর্মকে বাঁচিয়ে রেখেছেন নিজের জন্য বা লোকশিল্পটাকে হারিয়ে না ফেলার জন্য৷ বছরের অন্যান্য সময়ে তাঁরা এই আলপনা না আঁকলেও লক্ষ্মী পুজোর সময় আলপনা আঁকেন৷ তবে সে সবই এখন অতীত এখন চাহিদা বেশি স্টিকার আলপনার আলপনার। শিল্পী চম্পা দেবী জানান যে "বর্তমান দিনের সময়ের অভাবে মেয়েরা আর চায় না কষ্ট করে আলপনা দিতে। তবে আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি ঠাকুরমা দিদিমাদের এবং আমার নিজের হাতেই আলপনা বানাতে বেশি ভাল লাগে। আমি চাইব যেন আমার ছেলে মেয়েরাও এই প্রথাটা চালিয়ে যায়।"
অনির্বাণ রায়