পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার ব্লকের উত্তর রায়তৌড়ি গ্রামে বেশ কয়েকটি কুমোর পরিবারের বাস। যাদের মূল জীবিকা হল মাটির হাঁড়ি কলসি তৈরি করা। কিন্তু বর্তমান সময়ে মাটির পাত্রের চাহিদা কমেছে। ফলে আয় কমেছে। অনেকে আমার বয়সের ভারে এখন মাটির বিভিন্ন পাত্র তৈরি করতে পারেন না। ফলে তাদের জীবন জীবিকায় টান পড়ছে। এরকমই একজন মৃৎশিল্পী শংকর পাল। বয়সের ভারে এখন আর জিনিসপত্র তৈরি করতে পারে না। ফলে সংসারে অভাব।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পাঁশকুড়ায় আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার
তাই সংসারের অভাব মেটাতেই মাটির ছাঁচে ফেলে ছোট ছোট কালী প্রতিমা তৈরি করছেন। তিনি জানান, 'করোনা মহামারীর আগে কালী পূজার সময় প্রায় ২০০ টি ছোট প্রতিমা তৈরি করে নিজের হাতে বিক্রি করতাম। কিন্তু করোনা মহামারির কাল পার করে বিক্রি বাটা কমেছে এই ধরনের মূর্তির। মেরে কেটে একশটি প্রতিমা বিক্রি হয়।'
আরও পড়ুনঃ মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে আর্থিক প্রতারণা! হল না শেষরক্ষা
জীবন জীবিকার প্রয়োজনে মাটির জিনিসপত্র বানানো ছেড়ে ওই এলাকার আরও কয়েকজন মৃৎশিল্পী বর্তমানে বিভিন্ন দেবদেবীর মাটির ছাঁচের প্রতিমা তৈরি করেন। কালী পূজার সময় কালী প্রতিমা, কোজাগরি লক্ষ্মী পূজার সময় লক্ষ্মী প্রতিমা। আবার সরস্বতী পুজোর সময় সরস্বতী দেবীর মূর্তিও তৈরি করেন তাঁরা। ছোট ছোট গণেশের মূর্তি সহ বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি গড়েন শুধুমাত্র সংসারের অভাব মেটাতে।
Saikat Shee