আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় নাম ওঠেনি, ভোটে জিতে সেই বৃদ্ধার ঘর তৈরি করে দিলেন সিপিএম নেত্রী
বন্দর শহর হলদিয়কে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯৬৫ সালে এখানে জমি অধিগ্রহন করেছিল সরকার। যারা সেই সময় জমি দিয়েছিলেন প্রত্যেকেই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। কিন্তু অনেকেই পুনর্বাসনের উপযুক্ত জায়গা পননি বলে অভিযোগ। তাঁরাই ধীরে ধীরে হলদিয়ার বিষ্ণুরামচক, সাওতানচক, পাতিখালি, ব্রজনাথচক, চিরঞ্জীবপুর, পরমানন্দচক সহ বেশ কিছু জায়গায় বন্দরের জমিতেই বাড়িঘর বানিয়ে বসবাস শুরু করেন। এছাড়াও এখানে পেট্রো রসায়ন শিল্প গড়ে উঠলে বাইরে থেকে বহু মানুষ আসেন। তাঁদেরও একাংশ বন্দরের বিভিন্ন জায়গা দখল করে বসবাস করতে থাকেন।
advertisement
দীর্ঘদিন ধরে এই বন্দর কর্তৃপক্ষ এই জবরদখলকারীদের উঠে যাওয়ার জন্য বলছিল। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে পুলিশের সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে তারা। এর জন্য হলদিয়ায় বন্দরের জায়গায় জবরদখল করে থাকা ১০০০ পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই উচ্ছেদ অভিযানই ধাপে ধাপে সম্পন্ন হচ্ছে।
এদিকে আদালতের অনুমতি থাকলেও গোটা ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ হলদিয়া উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত বস্তি উন্নয়ন সমিতি। এই উচ্ছেদ অভিযানের ফলে সমস্যায় পড়েছেন সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী পরিবারগুলি। কোথায় যাবেন, কী করবেন কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।
সৈকত শী