বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন দুনিয়াকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। স্মার্টফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। কিন্তু ছোটদের ক্ষেত্রে স্মার্টফোন তাদের শৈশব ও কৈশোরকে কেড়ে নিয়েছে। একটা সময় ছিল যেখানে ছেলেমেয়েরা নিজেদের মধ্যে মাঠে বিভিন্নখেলাধুলায় যুক্ত থাকত। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের ছোট থেকে সবাই বুঁদ স্মার্টফোনে। স্মার্টফোনে অনলাইন গেম খেলার শিকার হচ্ছে শিশু থেকে নাবালকেরা। অনলাইন গেম খেলায় অনেক সময় অনেকে প্রাণ হারিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অনলাইন গেম খেলায় যা ঘটল অত্যন্ত মর্মান্তিক ও অমানবিক।
advertisement
বাচ্চার হাতে মোবাইল ফোন কতটা বিপদ জনক তা আবারও প্রমাণ করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের বেশকিছু নাবালক । হাতে ফোন পেয়ে নির্জন জায়গায় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি করে গেম খেলা। হেরে যাওয়ার শর্ত জুতা প্রহার । এই শর্ত কতটা ভয়ানক হতে পারে তার ধারণাও ছিল না ওই নাবালকদের মধ্যে । গেম খেলায় হেরে যাওয়ায় একাধিক বার জুতার প্রহার নাবালককে। বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে যায় ওই নাবালক, নাকমুখ দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে তার। প্রথমে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়। আহত ওই নাবালককে। নাবালকের পরিবারের লোকজন থানার দ্বারস্থ হলে অপর নাবালকদের থানায় নিয়ে যায় পটাশপুর থানার পুলিশ। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় পটাশপুর এলাকা জুড়ে।
আরও পড়ুন: বড় করেছিলেন মাথার চুল! ক্যান্সার আক্রান্তদের সেই চুল দান করলেন যুবক!
পটাশপুরের এই ঘটনা একদিকে যেমন বাচ্চাদের থেকে মোবাইল ফোন দূরে রাখার ইঙ্গিত দেয়, তেমনি নাবালক নাবালিকাদের হাতে মোবাইল ফোন কতটা ভয়ানক তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় এই ঘটনা। এ নিয়ে জেলার এক মনোবিদের বক্তব্য, 'ছোটরা তাদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা থেকে বঞ্চিত বর্তমান সময়ে। ছোটদের কাছে স্বাভাবিক আনন্দ লাভের পরিসর কমছে। ফলে ওরাও স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে দিন দিন। ফলে ইন্টারনেট ড্রাগ সেক্স অ্যাডিকশন এর সঙ্গে বাড়ছে চাইল্ডহুড ক্রাইম। এ এক ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের সংকেত। সবাইকে সচেতন হতে হবে।'
Saikat Shee