পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় চন্দ্রমল্লিকা গ্যডিওলাস সহ বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন ফুলের চাষ হয়। সারা বছর জমিতে ধানের পাশাপাশি শাকসবজি চাষের পর শীতকালে ফুল চাষ করেন ফুল চাষীরা। কালী পূজার পর শুরু হয় ফুল চাষের তোড়জোড়। এই শীতকালীন ফুল চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেক প্রান্তিক চাষীরা নিজেদের জমি না থাকলেও জমি মালিকের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে ফুল চাষ করে। ফুলের বাজারদর ভাল থাকলে লাভের অংক বাড়ে। আবার ফুলের বাজারদর কিছু কিছু বছর কম থাকলে সে ক্ষেত্রে ক্ষতির মুখ দেখে চাষিরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সামনে এল তমলুকের পথ দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ
পাঁশকুড়ায় অন্যান্য ফুলের পাশাপাশি সারা বছর গাঁদা ফুলের চাষ হয়। পাঁশকুড়ার ফুল চাষীদের কাছে গাঁদা ফুলের চাষ আরও বেশি লাভজনক। কেননা বাজারে গাঁদা ফুলের দাম না থাকলে ফুল বিক্রি করেন না চাষিরা। গাঁদা ফুল থেকে ফুলের বীজ তৈরি করে গাঁদা ফুল গাছের চারা তৈরি করেন। ফুল শুকিয়ে ফুলের বীজ মাঠে বীজতলায় ফেলা হয়। জল সার পরিচর্যার মাধ্যমে বীজতলা বড় করে তোলেন। চারা গাছের দৈর্ঘ্য ৪ ইঞ্চি থেকে ৬ ইঞ্চির মধ্যে হয়ে গেলেই চারা তুলে বাজারে বিক্রি করেন চাষিরা।
আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনায় পায়ের পাতা এফোঁড় ওফোঁড়! সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের হল রড
পাঁশকুড়ার বিভিন্ন বাজারের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ ওড়িশা মহারাষ্ট্র বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইতে গাঁদা ফুলের চারা রপ্তানি করে পাঁশকুড়ার ফুলচাষিরা। এই গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছে পাঁশকুড়ার উত্তর মেচগ্রাম পিতপুর বাঁশতলা মঙ্গলদাড়ি প্রভৃতি গ্রামের চাষিরা। গাঁদা ফুলের চারা তৈরি করতে এক কাঠা জমিতে খরচ পড়ে প্রায় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। বিক্রি করে উঠে আসে গড়ে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা। ফলে শুধু ফুল চাষ না, ফুল থেকে বীজতলা বড় করে চারা বিক্রি করার সঙ্গে যুক্ত পাঁশকুড়ার ফুলচাষিরা।
Saikat Shee