এরপর ওই সাধক মহারাজকে বলেন আপনি যেই যুদ্ধে যাচ্ছেন সেটাতে সফল হবেন। মহারাজ সফলও হন। এরপরই মহারাজ ওই সাধককে গুরুদেব বলে মেনে নেন। তাকে মন্দির চত্ত্বরটার সম্পত্তি দান করে যান। এরপরই মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। ৭১ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় মন্দিরের দরজা। ২০২০ সাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল মন্দির। তবে আবার নতুন করে ২০২০ সালে স্থানীয়দের নেতৃত্বে মন্দিরের দার খোলা হয়। আর তার পর থেকেই চলছে মন্দিরে নিত্য সেবা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্বল্প ব্যয় অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনায় ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা হবে রেনেসাঁর হাসপাতালে
স্থানীয়রাই ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে প্রশাসনিক মহলে জানিয়ে মন্দিরে ফের পুজো শুরু করেন। ভোর বেলা ৪ টের সময় মঙ্গলারতি হয়। ৮ টায় দেবতার পুজো শুরু হয়। ১২ টায় অন্নভোগ হয়। ভগবানের পাঠ ও সংকীর্তন সন্ধে ৬ টায় শুরু। ৮টায় সন্ধ্যা আরতি। গৌড়ীয়া মতে হয় এখানকার পুজো আর্চনা। নিমবার্ক সম্প্রদায়ের মন্দির এটা বলে জানান স্থানীয়রা। বর্ধমান শহরের রাজগঞ্জ এর হমিয়প্যথি কলেজের পাশেই অবস্থিত এই মন্দির।
আরও পড়ুনঃ ঝোপ জঙ্গলে ভরেছে খেলার মাঠ! সন্ধ্যে হলেই বাড়ে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা
কথিত আছে, যেহেতু রাজ আমলের মন্দির তাই সেই সময়কার স্থাপত্য ভাস্কর্যের উপর নির্ভর করেই মন্দিরের এই রকম চিত্র। মন্দির দেখে মনে হয় মন্দির মসজিদ গির্জা এক জায়গায় তবে তা নয়। গৌড়ীয় ধারার সাধু সত্য ভগবৎ এসেছিলেন ২০২০ সালে শিষ্যদের নিয়ে। এরপরই শুরু হয় ফের পুজো অর্চনা। রাজস্থান, থেকে মূর্তি আনা হয়েছে রাধা কৃষ্ণ এর। সাড়ে সাত লক্ষ টাকা দামের মূর্তিতে বর্তমানে হয় পুজো।
Malobika Biswas