এমনই এক সতীপীঠ রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ক্ষ্মীরগ্রামে। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ি, এই গ্রামে পড়েছিল সতীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল। তাই এই স্থানকে শক্তিপীঠ বা সতীপীঠ হিসেবে গণ্য করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট সংলগ্ন এই গ্রামে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের সংক্রান্তির দিন থেকে ৪ জৈষ্ঠ্য অবধি দেবী যোগাদ্যার পাঁচ দিন ব্যাপী মহাপুজো অনুষ্ঠিত হয়।
advertisement
বর্তমানে মায়ের পুজো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে গঠিত হয়েছে পুজো কমিটি। দেবী যোগাদ্যা এবং ক্ষীরগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে কমিটির সদস্য অঞ্জনকুমার সামন্ত বলেন,……
আরও পড়ুন - East Burdwan News: মন্ডা-মিঠাই শুনেছেন, মন্ডার জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে
শুধু পুরান না। পূর্ব বর্ধমানের ক্ষ্মীরগ্রামে ঘিরে বর্ণিত হয়েছে রামায়ণের কাহিনীও । রামায়ণে উল্লেখিত মহিরাবণ পাতালে যে ভদ্রকালীর পুজো করতেন, তিনিই দেবী যোগাদ্যা। এই গ্রামে রয়েছে দেবীর দুই মন্দির। আদি মন্দিরটি রয়েছে জলের ওপরে এবং অন্যটি পুকুরের মধ্যিখানে অবস্থিত। জলের উপরিভাগের লাল মন্দিরে যে দেবী মূর্তি রয়েছে সারা বছর সেই বিগ্রহের দর্শন পান পুণ্যার্থীরা।
শোনা যায় এই মূর্তি বহু প্রাচীন এবং এই বিগ্রহকে উদ্দেশ্য করে একসময় নরবলি হত। জলের মধ্যের সাদা মন্দিরের দেবীর বিগ্রহটির বছরে মাত্র দুই দিন দর্শন পান পুণ্যার্থীরা। এছাড়াও পুজো কমিটির পক্ষ থেকে সারা বছর পুণ্যার্থীদের জন্য রয়েছে ভোগ প্রসাদ খাওয়ার বিশেষ ব্যাবস্থা। দেবীর মহিমায় ও এই স্থানের মাহাত্ম্যের টানে সাড়া বছরই পুণ্যার্থীরা ভিড় জমান এই সতীপীঠে।
Bonoarilal Chowdhury