পুজোকে কেন্দ্র করে কালনার মহিষমর্দিনী তলা ঘাট থেকে কাঁটিগঙ্গা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বসে মেলা। মেলার অন্যতম আকর্ষণ থাকে পুতুল নাচ, নাগরদোলা ও যাত্রাপালা। জানা গিয়েছে, আনুমানিক ১৩৪০ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন কালনা গঞ্জের জনৈক ব্যবসায়ী ঈশ্বরী প্রসাদ নন্দী কালনা ঘাটে গঙ্গাস্নান সেরে ওঠার সময় একটি দড়ি বাঁধা পাটাতন দেখতে পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ এ কেমন স্কুল! যেখানে আসলে আর বাড়ি যেতেই চায় না ছাত্রছাত্রীরা!
advertisement
এরপরই তৎকালীন পণ্ডিতদের নির্দেশমতোই সেই পাটাতনেই তিনি প্রথমে হোগলা পাতার ছাউনিতে দেবীর আরাধনা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে পাকা মন্দির, আটচালা, নহবতখানা সমস্ত কিছুই তৈরি হয়। তখন থেকেই চলছে পুজো। তবে এ পুজোটি আগে হত চৈত্র মাসে।
আরও পড়ুনঃ পরিবহন নিয়ে সমস্যার কথা হোয়াটসঅ্যাপ করলেই মিলবে সমাধান
পরবর্তী সময় সেই পুজোই শ্রাবণ মাসের শুক্ল তিথি ধরে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পুজো অনুষ্ঠিত হয়। সর্ব সাধারণের জন্য ব্যবস্থা করা হয় অন্নভোগের। স্থানীয়রা বলেন, করোনার জন্য দুবছর পুজো বন্ধ থাকায় মন খারাপ হয়েছিল তাঁদের। তবে এবছরও ফের পুজো হওয়ায় খুশি তাঁরা। আর মেলা ঘিরেও উন্মাদনা রয়েছে তুঙ্গে।
Malobika Biswas