এ বিষয়ে উপ কৃষি অধিকর্তা আশীষ কুমার বাড়ুই জানান, ডিভিসির কাছে যে পরিমাণ জল ছিল সমস্ত জল ছেড়ে দিয়েছে। তবে সেই জলের পরিমাণ প্রয়োজনের থেকে কম। যদি ১৪ দিন ডিভিসি জল দিত তাহলে জলের ঘাটতি কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হত। চলতি বছরে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা তিন লক্ষ ৮১ হাজার মতো। বর্তমানে মাত্র ৮১ হাজার হেক্টরের মতো জমিতে চাষ হয়েছে বা চারা লাগানো হয়েছে। ঘাটতি আছে ৬০ থেকে ৬২% মতো।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টির কামনায় শিবের মাথায় জল ঢাললেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি!
যদি দ্রুত বৃষ্টি হয় তাহলেই এই ঘাটতি মেটানো সম্ভব। বৃষ্টি না হলে আমন ধান চাষ কিছুটা হলেও ক্ষতির মুখে পড়বে। বেশি বয়সের বীজ লাগালে ফলন ভালো হয় না। বেশ কয়েকটি জায়গায় দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির জল কাজে লাগবে। তবে এখনও আরও বৃষ্টির প্রয়োজন। জেলার চাষী অমল মোদক, বিভাস দাসরা বলেন, বীজ তোলার কাজ এখনও শেষ করা যায়নি। জলের অভাবে সব কিছুই থমকে আছে। এখন শুধুই বৃষ্টির অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
আরও পড়ুনঃ বজ্রপাতে মৃত কৃষক! আহত ১১
উল্লেখ্য, জুলাইয়ে সাধারণত ৩৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় জেলায়। এ বার এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০০ মিলিমিটার এর মতো বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছে জেলার চাষাবাদ। তাই আপাতত বৃষ্টির আসায় জেলার চাষীরা।
Malobika Biswas