TRENDING:

East Bardhaman News: পড়াশোনার খরচ জোগাতে হিমশিম! 'কাটুম-কুটুম' শিল্পই এখন সৈকতের ভরসা

Last Updated:

East Bardhaman News: নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাতে মেলায় মেলায় ঘুরে হস্তশিল্পের জিনিস বিক্রি করেই অর্থ উপার্জন করছে সৈকত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাতে মেলায় মেলায় ঘুরে হস্তশিল্পের জিনিস বিক্রি করেই অর্থ উপার্জন করছে সৈকত। বাংলার হস্তশিল্পীদের টিকে থাকার জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলার অগ্রদ্বীপে সোনাঝুরির হাট বসাচ্ছেন শিল্পীরা। এই হাটে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে হস্তশিল্পীরা তাঁদের তৈরি নানা সামগ্রী নিয়ে এসেছেন। সেখানেই ‘কাটুম-কুটুম’ শিল্পের কিছু জিনিস তৈরি করে নিজের পড়ার খরচ নিজেই জোগাচ্ছেন নদীয়ার কলেজ পড়ুয়া সৈকত দাস। তাঁর একটাই স্বপ্ন পড়াশুনা করে বাংলার হস্তশিল্পকে বিদেশের মাটিতেও তুলে ধরা হবে। এই প্রসঙ্গে সৈকত জানিয়েছে, আমাদের ছোট ছোট গ্রামে এই সমস্ত শিল্পগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে । এই শিল্পকে আমি বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিদেশেও ছড়িয়ে দিতে চাই এই চিন্তা ভাবনা নিয়েই আমি এগিয়ে চলেছি ।
advertisement

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হস্তশিল্পীরা পূর্ব বর্ধমানের অগ্রদ্বীপে এসেছেন তাঁদের নানা শিল্পকর্ম নিয়ে। সেখানেই ‘কাটুম-কুটুম’ শিল্পের চাহিদা বাড়ছে। আর এই শিল্পকেই এখন আঁকড়ে ধরেছেন নদীয়ার কলেজ পডুয়া। ‘কাটুম-কুটুম’ বলতে শুকনো গাছের শিকড়, ডাবের খোল, শুকনো তালের আঁটি, গাছের ডাল দিয়ে পশু-পাখি, নানা মডেলের নানা আকৃতি তৈরি করা হয়৷ এই শিল্পের নাম ‘কাটুম-কুটুম’। আর এই শিল্পকে কেন্দ্র করেই ক্রমশ স্বনির্ভর হচ্ছে প্রচুর মানুষ। ‘কাটুম- কুটুম’-এর চাহিদা এখন রাজ্য ও দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছেছে।

advertisement

আর পড়ুন- পুরুষরা সাবধান! ‘এই’ ৫ অভ্যাস আজই না ছাড়লে ‘সর্বনাশ’ তো হবেই, মাশুল গুনতে হবে সারাজীবন ধরে

আর পড়ুন- চুমুক দিলেই কমবে তলপেটের মেদ! সকালে ঠিক ‘এই’ ভাবে পান করুন ‘ম্যাজিক ওয়াটার’, রোগা হবেন ৭ দিনে

জানা গিয়েছে, নদীয়া জেলার চাকদহ এর বাসিন্দা সৈকত দাস ইতিহাস অনার্স নিয়ে বিএ পড়েন। বাবা কনক দাস বাঁশের নানা হস্তশিল্প তৈরি করেন৷ মা শিখা দেবী একজন গৃহবধূ। সৈকত তার বাবার কাছ থেকেই হস্তশিল্প শিখেছেন। কিন্তু কলেজে পড়ার খরচ বাবার কাছ থেকে কীভাবে নেবেন । স্বল্প আয়ে সংসার কোনওমতে চলে। তাই সৈকত ‘কাটুম-কুটুম’ শিল্পকেই বেছে নিয়েছেন। এই বিষয়ে সৈকত আরও জানায়, আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি আমার নিজের পড়াশোনার খরচ আমি নিজে চালাই। বিভিন্ন মেলা থেকে উপার্জন করে আমি আমার যাবতীয় খরচ এবং পড়াশোনার যা খরচ লাগে, সবটাই মেটাই ।

advertisement

আরও জানা গিয়েছে, বীরভূমের খোয়াইতে সোনাঝুরির হাটে নানা হস্তশিল্প বিক্রি হয়। পূর্ব বর্ধমানের অগ্রদ্বীপেও সেই হাটের নামেই হাট বসছে। আর শিল্পীদের এই হাট বসাতে সহযোগীতা করেছেন ক্রিয়েটিভ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। সংস্থার পক্ষ থেকে রাজর্ষি দাস জানান, বাংলার লোকশিল্প এবং হস্তশিল্পকে নিয়ে আমরা ২০২০ সালের করোনার সময় থেকে সোনাঝুরি হাট নামে মেলা শুরু করেছি । আমাদের শিল্পীদের হাতের তৈরি জিনিসের প্রচুর চাহিদা বিদেশ থেকেও এখন জিনিস কিনতে লোক আসছে। সোনাঝুরি হাট নাম দিয়ে আমি এই কাজ শুরু করেছি তার কারণ হস্তশিল্পীরা আমার কাছে সোনা এবং এই মেলা ছোট্ট একটা ঝুড়ির মত। সুপারি, গমের খোসা, তুস প্রভৃতি দিয়ে ‘কাটুম-কুটুম’ এর নানা মডেল তৈরি করে সোনাঝুরি হাটে নিয়ে এসেছে সৈকত। ঘর সাজানোর উপকরণ হিসাবে এর বিক্রিও হচ্ছে দেদার। ভবিষ্যতে এই শিল্পকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায় সৈকত।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
East Bardhaman News: পড়াশোনার খরচ জোগাতে হিমশিম! 'কাটুম-কুটুম' শিল্পই এখন সৈকতের ভরসা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল