Health Tips: পুরুষরা সাবধান! 'এই' ৫ অভ্যাস আজই না ছাড়লে 'সর্বনাশ' তো হবেই, মাশুল গুনতে হবে সারাজীবন ধরে
- Published by:Riya Das
- news18 bangla
Last Updated:
Health Tips: অ্যালকোহল ও মাদক খাওয়া এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যা পুরুষদের জন্য আরও বেশি ক্ষতি করছে৷ শরীরে শুধু অনেক রোগই হচ্ছে না বরং পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সমস্যাও বাড়ছে।
advertisement
পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের প্রধান কারণ খাবারে ক্ষতিকারক জিনিসের প্রভাব এবং খারাপ অভ্যাস। সম্প্রতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গর্ভধারণে নারীরা যে সমস্যার মুখোমুখি হন তার অর্ধেক জন্য পুরুষের খারাপ শুক্রাণুও অনেকটাই দায়ী এবং এই খারাপ শুক্রাণুর জন্য দায়ী অভ্যাস। মায়ো ক্লিনিকের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের প্রতি মিলিলিটার বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা ১৫ মিলিয়নের কম হলে তা শুক্রাণুর ঘাটতি হিসাবে বিবেচিত হয়। এর চেয়ে কম শুক্রাণু গর্ভাবস্থার জন্য আদর্শ নয়।
advertisement
অতিরিক্ত ওজন- আমরা যত বেশি আধুনিক ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার খাব, ততই আমাদের শরীরের ওজন বাড়বে। অতিরিক্ত ওজন শুক্রাণুর জন্য শত্রুর থেকে কম নয়। মায়ো ক্লিনিকের মতে, স্থূলতার কারণে শুক্রাণুর গুণমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড এবং ভাজা খাবার শুক্রাণুর উৎপাদন হ্রাস করে এবং প্রজনন হরমোনের ক্ষতি করে, যা শুক্রাণুর গুণমান এবং সংখ্যা উভয়কেই দুর্বল করে।
advertisement
অ্যালকোহল- অ্যালকোহল প্রতিটি মানুষের শরীরে খারাপ প্রভাবে ফেলে৷ কারণ অ্যালকোহল কোনও দিক দিয়েই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। কিন্তু অল্প বয়সে কেউ অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পড়লে তা বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অ্যালকোহলের অভ্যাসের কারণে, শুক্রাণুর সংখ্যা এবং শুক্রাণুর গুণমান উভয়ই খারাপ হয়। এইসব অভ্যাস আজ থেকে ত্যাগ না করলে সারাজীবনের জন্য মাশুল গুনতে হবে।
advertisement
অতিরিক্ত ড্রাগস সেবন- ছোট বয়স থেকেই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে ছেলেরা। শুক্রাণুর জন্য মাদকও বড় শত্রু। অতিরিক্ত ড্রাগস সেবন শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গুণমান উভয়কেই প্রভাবিত করে। অ্যানাবলিক স্টেরয়েড, যা পেশি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়, এতে ওষুধও থাকে, তাই এটি শুক্রাণুর গুণমানও নষ্ট করে। কোকেন, হিরোইন, গাঁজা ইত্যাদি শুক্রাণুর গুণমান ও উৎপাদন উভয়ই নষ্ট করে।
advertisement
advertisement
স্ট্রেস - স্ট্রেস বা বিষণ্নতা শরীরে ১৩০০ রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্ম দেয়। মানসিক চাপের কারণে শরীরে রাসায়নিকের ঢেউ হয়। মানসিক চাপের কারণে শুক্রাণুর মান খারাপ হয়। যদি একজন পুরুষ খুব বেশি মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তবে তার শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গুণমান প্রভাবিত হয়। মানসিক চাপের কারণে টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎপাদন কমে যায় যার ফলে শুক্রাণুর উৎপাদনও কমতে শুরু করে।