পুঁথিটির মধ্যে থাকা দিনাজপুরের নানা বিশেষত্ব ৪০০ বছর আগে কবি জগত জীবন এই পদ্মামঙ্গল কাব্যে তুলে ধরেছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ দিনাজপুরের ধোকরা ও তাঁতের শাড়ি। এই ধোকরা তৈরির পিঠস্থান বলা যেতে পারে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি থানা।
জানা গেছে, পুঁথিটির মধ্যে দিনাজপুরের নানা বিশেষত্ব রয়েছে। চাঁদ সদাগর ১৪ টি ডিঙিতে দিনাজপুরের বোরো ধানের চাল, নারকেল, হলুদ, জিরা, আম, জাম, পাট, শাড়ি, ধোকরা ইত্যাদি দিয়ে নিয়েছিলেন পাটনের উদ্দেশ্যে। বাণিজ্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে হলুদের বিনিময়ে সোনা, নারকেলের বিনিময়ে শঙ্খ, ধোকরার বদলে সুবর্ণ কাপড় এনেছিলেন।
advertisement
এবিষয়ে অধ্যাপক ড. সমিত কুমার সাহা জানান, “এই পুঁথি আবিষ্কারের আনন্দ অপরিসীম। কবি জগত জীবন ৪০০ বছর আগে এই পদ্মামঙ্গল কাব্যে দিনাজপুরের ধোকরা ও শাড়ির কথা তুলে ধরেছিলেন। দিনাজপুরের শাড়ির বিবর্তিত রূপে এসেছে গঙ্গারামপুরের তাঁতের শাড়ি। তাই তিনি তাঁর গ্রন্থে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এই ধোকড়া ও গঙ্গারামপুর এর তাঁতের শাড়িকে যদি জিআই ট্যাগ দেওয়া যায় সেই বিষয়টি সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন।”
তিনি আরও জানান, কবি জগত জীবনের মনসা বিষয়ক পদ্মামঙ্গল নামে পুঁথি আবিষ্কার বোধ হয় এই প্রথম। আবিষ্কৃত এই পুঁথির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দেবদেবীর কথা, মনসার ক্রোধ, মাহাত্ম্য, চাঁদ সদাগরের দৃঢ় ব্যক্তিত্ব, দিনাজপুরের কৃষিজাত পণ্য ও কুটির শিল্প নিয়ে বাণিজ্য যাত্রা, উচ্চ বর্গের ও নিম্নবর্গের চরিত্র, সতীদাহের বিরুদ্ধে বেহুলার প্রতিবাদ ও ভাসমান যাত্রা অসাধারণভাবে রূপায়িত হয়েছে তাঁর এই পুঁথিতে। যা এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে।
সুস্মিতা গোস্বামী





