৪৮ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ধুপগুড়িতে ঢোকার মুখেই চোখে পড়ে সারি সারি শুটকি মাছের দোকান। শীতের মরশুমে এই এলাকায় বাড়তি ভিড়ই যেন নিয়মিত ছবি। ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়ক যেন শুটকির স্বর্গ। কী কী পাওয়া যায়? নোনা ইলিশ , ভোলা শুটকি চিংড়ি থেকে পুঁটি-সহ নানা ধরনের শুটকিতে ভরে ওঠে বাজার। ভর্তা হোক বা ঝোল, আবার ভাজা —সব ধরনের রান্নার জন্য উপযোগী শুটকি এখানেই মেলে সহজে।
advertisement
ব্যবসায়ীদের দাবি, ধুপগুড়ির শুটকির কদর শুধু স্থানীয় এলাকাতেই নয়, ভুটান ও আসামের বিভিন্ন প্রান্তেও রয়েছে। নিয়মিত এখান থেকে শুটকি পাঠানো হয় বাইরের রাজ্য ও দেশেও। শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যাবেলায় জাতীয় সড়কের ধারে গাড়ি থামিয়ে অনেকেই ভিড় করছেন শুটকি কেনার জন্য। কেউ নিজের জন্য, কেউ বা আত্মীয়স্বজনের আবদার মেটাতে শুটকি সংগ্রহ করছেন।
ক্রেতাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বেশিরভাগ দোকানেই রয়েছে পার্সেল পরিষেবার ব্যবস্থাও। দুই পাশে সারি সারি দোকান, বাতাসে ভেসে আসা শুটকির চেনা গন্ধ আর ক্রেতাদের ব্যস্ততা—সব মিলিয়ে শীতকালে ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কের এই অংশ যেন এক আলাদা রূপ নেয়। শীতের মরশুম জুড়ে ধুপগুড়ির শুটকি বাজার এখন রীতিমতো আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে!





