গ্রেফতার হয়েছে হেমন্ত শর্মা, বয়স আনুমানিক ৩০। সিকিমের প্যাকিয়ংয়ের বাসিন্দা হলেও, কর্মসূত্রে সে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড স্টাফ। কিন্তু ইনস্টাগ্রামে কিংবা বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপে নিজেকে ‘কো পাইলট’ বা ‘ফার্স্ট অফিসার’ হিসেবে পরিচয় দিত ৷ এআই (AI) প্রযুক্তির সাহায্যে নিজের ছবি পাইলটের পোশাকে এডিট করে সাজিয়ে সে তৈরি করেছিল নিজের চটকদার প্রোফাইল। সেই ছবি আর মিষ্টি কথার জালে যুবক জড়িয়েছে বহু তরুণীকে। অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জন তরুণী তার ফাঁদে পড়েছেন।
advertisement
সূত্রের খবর, এক নার্সের থেকে চার গ্রাম সোনা আত্মসাৎ করার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে শিলিগুড়ির মেডিক্যাল আউট পোস্ট থানার পুলিশ। অবশেষে ৬ মে রাতে শহরের শিব মন্দির সংলগ্ন দুর্গা মন্দির এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠছে—‘‘আমরা কি খুব সহজে সবাইকে বিশ্বাস করে ফেলি? সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলই কি কারোর আসল পরিচয়?’’
প্রত্যেক মুহূর্তেই তাই সতর্ক থাকা জরুরি সাধারণ মানুষকে। হেমন্ত বর্তমানে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, প্রতারণার নেটওয়ার্ক আরও বড় কি না, আর কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত। এই ঘটনায় আরও একবার সামনে এল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা। ডিজিটাল যুগের এক নীরব বিপদ থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে আমাদেরই !





