ইতিহাসবিদদের মতে, ‘ব্রিটিশ শাসনকালে এই শহরে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন বহু ব্রিটিশ ও ডাচেরা। সেই সময় শহরের দূষিত আবহাওয়ার কারণে প্রাণ হারান বহু বিদেশি। তাঁদের মধ্যে কেউ ছিলেন কারখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকারিক আবার কেউ ছিলেন কর্মী। কোনওরকম ভাবে তাঁদের মৃত্যু হলে শহরেই একাধিক জায়গায় তৈরি হওয়া সমাধিস্থলে কবরস্থ করা হত। তবে কবরস্থ করার পর সমাধিস্থলের পাশে জলের ব্যবস্থা না থাকায়। সেই সময় খ্রিস্টান ধর্মীয় ব্যক্তিরা পুকুর নির্মাণের জন্য মহারানী ভিক্টোরিয়াকে আবেদন জানান। সেই আবেদনের সাড়া দিয়ে ইংল্যাণ্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়া অর্থ বরাদ্দ করেন পুকুরটি নির্মাণের জন্য। সেই থেকেই পুকুরের নাম দেওয়া হয় ভিক্টোরিয়া ট্যাঙ্ক বা ভিক্টোরিয়া পন্ড। তবে আজও অনেকে এই পুকুরটিকে বিবি পুকুর বলেন যার অর্থ হিসেবে ধরা হয় সম্মানিত মহিলা দ্বারা নির্মিত পুকুর।’
advertisement
বর্তমানে এই পুকুরটি ইংরেজবাজার ব্লক অফিস চত্বরে ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। চারিদিকে গার্ড ওয়াল তৈরি করে সাজানো হয়েছে পুকুরটি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজেশ পাল জানান, ‘পুকুরটি ঐতিহাসিক পুকুর। রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছে পুকুরটি। পুকুরটি চারপাশে বসার মত জায়গা করা হয়েছে। ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে আগামীতে আরও উন্নত করা হবে এই পুকুরটিকে।’
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে বাংলা জুড়ে ব্রিটিশদের ব্যবসা বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক শহরের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বর্তমান মালদহের ইংরেজবাজার। বাণিজ্যিক এই শহরে শুধু নির্মাণ স্থাপত্য নয়, আজও একাধিক স্থাপত্য রয়েছে যা প্রাচীন ব্রিটিশ শাসনকালের ইতিহাসকে মনে করিয়ে দেয়। যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রাচীন এই ভিক্টোরিয়া পন্ড বা ভিক্টোরিয়া ট্যাঙ্ক।





