চালসা ব্লকের বেসরকারি রিসোর্টের প্রধান গেটের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছিল এক বিশাল হাতি। তার ভারী পায়ের চাপেই যেন মাটি কেঁপে উঠছিল। পর্যটকরা তখনও ঘুমের ঘোরে, কিন্তু সেই গর্জনে তারা চমকে ওঠে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে থাকে। গজরাজের লক্ষ্য ছিল রিসোর্টের গেট। প্রচণ্ড শক্তিতে সেটি ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল সে। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো রিসোর্টে। কেউ কেউ চিৎকার করতে থাকেন, কেউ আবার মোবাইল বের করে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে ঘটনাটি, যা হয়ে ওঠে নেট দুনিয়ার আলোচিত বিষয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ডুয়ার্সের জঙ্গল ঘুরতে যাবেন? ভাবছেন সব মিলিয়ে কত টাকা লাগতে পারে? রইল খরচের খুঁটিনাটি
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে সৌভাগ্যের বিষয়, কিছুক্ষণ তাণ্ডব চালিয়েই হাতিটি ফিরে যায়। কিন্তু তার উপস্থিতি যেন প্রকৃতির আর মানুষের মধ্যে এক অব্যক্ত সংঘাতের চিহ্ন এঁকে দিয়ে যায়। এ ধরনের ঘটনা জলপাইগুড়ির ডুয়ার্স অঞ্চলে নতুন নয়। জঙ্গল লাগোয়া এইসব রিসোর্ট প্রায়ই বন্যপ্রাণীর হানার শিকার হয়। বিশেষত, গরুমারা জাতীয় উদ্যানের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে হাতির আনাগোনা লেগেই থাকে। বনের গণ্ডি পেরিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করা হাতিগুলো প্রায়ই খাবারের সন্ধানে আসে, আর তখনই ঘটে মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষ। প্রকৃতি ও মানুষের সহাবস্থানের এই টানাপোড়েন হয়তো সহজে থামবে না। তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং স্থানীয়দের নিরাপত্তার স্বার্থে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে উঠেছে। না হলে, এই সংঘাত কেবল ভয়াবহতর হবে, যার ফল ভুগতে হবে উভয়কেই—মানুষ ও প্রকৃতিকে।
সুরজিৎ দে





