জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেখা দিচ্ছে পানীয় জলের সংকট। পৌরসভার ট্যাঙ্ক থেকে জল নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের লম্বা লাইন নতুন কিছু নয়, তবে কেন প্রতি বছর একই ছবি ফুটে উঠছে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মূল কারণ ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে যাওয়া এবং অনিয়ন্ত্রিত গভীর নলকূপ স্থাপন। শহরের একাধিক ওয়ার্ডে বহুতল আবাসনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জলের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে গভীর নলকূপ। স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, কিছু অদৃশ্য প্রশাসনিক সমর্থন পেয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বিচারে বসানো হচ্ছে নলকূপ। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পানীয় জলের বোতলিং প্ল্যান্ট, যা ভূগর্ভস্থ জলস্তরকে আরও তলানিতে ঠেলে দিচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভুট্টা চাষে বিপুল লাভের সম্ভাবনা! সহজ উপায়ে লাভ হবে দ্বিগুণ
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ভূ-তাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞ জাতিস্মর ভারতীর মতে, “অনিয়ন্ত্রিত ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার আগামীতে বড়সড় জলসংকটের কারণ হতে পারে। বৃষ্টিপাত কমেছে, তার সঙ্গে লাগামছাড়া জল উত্তোলন, এই দুই মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।” পরিবেশকর্মী ডঃ রাজা রাউত জানান, “জলপাইগুড়ির জলসংকটের মূল কারণ দুটো—বৃষ্টি কম হওয়া এবং ভূগর্ভস্থ জলের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার। শীত পড়তেই এর প্রভাব প্রকট হয়ে ওঠে।”
শহরবাসীর একাংশ বলছেন, প্রশাসন যদি এখনই সঠিক ব্যবস্থা না নেয়, তবে আগামী দিনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই ট্যাঙ্কের জল সরবরাহই শুধু নয়, ভূগর্ভস্থ জলের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং সচেতনতা প্রচার বাড়ানোও জরুরি। এখন দেখার, প্রশাসন আদৌ কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয় কি না।
সুরজিৎ দে





