২০২৩ সালেই আত্রেয়ীর জল ধরে রাখতে প্রায় ৩২ কোটি টাকা খরচে নদী বরাবর স্বল্প উচ্চতার ড্যাম তৈরি করা হয়েছে৷ সেই ড্যামের দু’পাশে সিঁড়ি নির্মিত হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই এই ঘটনা রীতিমত প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কিছুদিন আগেই বর্ষাকালে শহরের চকভৃগুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিঁড়ির পাশের বাঁধ ধ্বসে পড়ছিল। যা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আগে থেকেই ওই বাঁধ মেরামতের দাবি তুলেছিল। যদিও বা সেচ দফতরের তরফে কিছু পাথর ফেলে ওই বাঁধটিকে মজবুত করা হয়েছিল বলে দাবি করেছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: বসন্ত রোগের যম এই পাঁচ সবজি! জ্বর-কাশি-ডায়াবেটিসেও দারুণ কাজের!
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কিন্তু বর্তমানে বর্ষাকাল নয়, কিন্তু বাঁধ এলাকায় জলের তোড়ে বাঁধের একাংশ ধ্বসে পড়ছে। ধ্বসে অনেকটাই বসে গিয়েছে। এদিন গভীর রাত থেকেই বিষয়টি নজরে আসতেই এলাকায় শোরগোল পড়েছে। বাঁধের পাশে বহু মানুষ বসবাস করে। তাঁরা রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এরপর সকাল থেকেই এলাকায় প্রশাসনের আধিকারিক সহ এসে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। যদিও সেচ দফতরের কর্মীরা ড্যামের যে গেট জল পাশ হওয়ার সেই গেট রাতেই খুলে দেন, সে কারণেই তাঁরা মনে করছেন কিছুটা স্বস্তি মিলবে।
এবিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানান, “তদন্ত চলছে। কি কারণে বাঁধ ভাঙল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্ট উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছে। বাঁধের মূল অংশের কিছু হয়নি। বাঁধের ধারে সিঁড়ির মাটি ধ্বসে গিয়েছে। সেচ দফতর মেরামতের কাজ শুরু করেছে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ড্যামের গেট বন্ধ করে রাখার জন্যই ড্যামের পাশের ওয়ালের তলে ফুঁটো থাকায় সেখান দিয়ে জল পাশ হতে শুরু করে এবং তারপরেই বাঁধ ভেঙ্গে হুড়মুড়িয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। যদিও প্রশাসনের দাবি, অতিরিক্ত জলের চাপে এই বিপত্তি। ড্যাম তৈরি হওয়ার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই নদী বাঁধের বেহাল দশায় বিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। কোনওভাবে জল গ্রামে ঢুকলে বিপদের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এখন শুখা মরশুম। গত কয়েকদিন বৃষ্টিও হয়নি। তারই মধ্যে বাঁধ ভেঙে গেল কীভাবে? সেই প্রশ্নও তুলছে এলাকাবাসী।
সুস্মিতা গোস্বামী





