বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকা আমবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রীতির বাবা দিনমজুর সত্যজিৎ মণ্ডলের পক্ষে সংসার চালাতেই হিমশিম অবস্থা। মেয়ে প্রীতির পড়াশোনার খরচ সামলানো তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। এদিকে, মেধাবী প্রীতি হাল ছাড়তে নারাজ। উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৫৩। প্রীতি হিঙ্গলগঞ্জের কনকনগর এসডি ইনস্টিটিউশনের ছাত্রী৷ প্রীতির এই সাফল্যে খুশি পরিবার, শিক্ষক শিক্ষিকা সহ এলাকাবাসী।
advertisement
দিন আনা দিন খাওয়া টানাপোড়েনের সংসারে বছরখানেক আগে জানতে পারে, পোস্ট অফিসে আবেদন করে মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে পোস্ট অফিসের অস্থায়ী কাজ পায় সে। প্রীতি জানায়, চার-পাঁচ মাস ধরে কাজ করছে সে। মাসে ১০ হাজার টাকা উপার্জন করে। তা দিয়ে কোনওরকমে সংসার চলছে। প্রীতি নিজেও শ্বাসকষ্টে ভোগে।
আরও পড়ুন-অটিস্টিক আক্রান্ত শিশুদের পাশে অভিনেতা নাইজেল, ‘চুপচাপ চার্লি’-তে দিলেন বিশেষ বার্তা
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার মুর্শিদাবাদে, গ্রেফতার ৩
প্রতি মাসে নিতে হয় ইনহেলার। সেই খরচ এবং নিজের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যাচ্ছে সে। হিঙ্গলগঞ্জ ডাকঘর থেকে চিঠিপত্র নিয়ে সান্ডেলেরবিল শাখা ডাকঘরে নিয়ে যেতে হয় দিনে দু’বার। সংসারের হাল ধরতে পরিশ্রমের পাশাপাশি রাত জেগে পড়াশোনা চালিয়ে যায় প্রীতি। প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকায় এক চিলতে জায়গায় ছোট্ট জরাজীর্ণ মাটির ঘরে বাবা ও মাকে নিয়ে প্রীতির গোটা পৃথিবী। ভবিষ্যতে ইংরেজির শিক্ষিকা হতে চায় প্রীতি। প্রীতির এই ফলাফলে খুশি এলাকার মানুষ।
জুলফিকার মোল্যা