প্রায় ৬০০ বিঘা জলাশয়ে গড়ে ওঠা এই কঙ্গনা বাওড়কে বলা হয় গোবরডাঙার ফুসফুস। এই জলাশয়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে স্থানীয় মানুষ সংগঠিত হয়ে ইতিমধ্যেই নজরদারি চালানো শুরু করেছেন গোটা এলাকায়। আর এর জন্যই পাশে পেয়েছেন বহু পরিবেশপ্রেমীদেরও।
আরও পড়ুন : নেপালের খুম্বু হিমবাহের দুর্গম জনহীন ‘ভূতুড়ে গলি’-তে লেন্সবন্দি দুর্লভ তুষারচিতা, বাজিমাত তরুণী আলোকচিত্রীর
advertisement
শীতে এই বৃহৎ জলাশয়ের পাশের গাছগুলোতে দেখা মেলে নানা ধরনের, নানা রঙের পরিযায়ী পাখির। মনোরম জলবায়ুর টানে কয়েক হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে উড়ে আসে তারা। এই অতিথিদের কিচিরমিচির ডাক শুনতে শুনতে আর এই জলাশয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে কখন যে সময় পেরিয়ে যাবে, তা বুঝতেও পারেন না এখানে আসা পর্যটকরা। বিকেল হলেই স্থানীয়রা তো বটেই, আশপাশের বহু মানুযের ঢল নামে এই বাওড়ের আনাচে কানাচে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি পরিযায়ী পাখিদের দর্শন করতে। ইতিমধ্যেই অনেকেই ফটোসেশনের জন্য এই পরিবেশকে বেছে নিতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন : ২০ দিন বয়সি অসুস্থ কন্যাসন্তানকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার তরুণী মা
তবে সবকিছু স্বাভাবিক গতিতে চললেও, কিছু ধূর্ত পাখিশিকারির লোলুপ দৃষ্টিকে ভয় পাচ্ছেন এই এলাকার পরিবেশপ্রেমীরা। কারণ নজর এড়িয়ে অনেক চোরাগোপ্তা পথে বিগত দিনগুলোতে শিকার করা হয়েছে বহু পরিযায়ী পাখিদের। সেইসব কালো অতীত স্মৃতিকে মনে রেখে এখন খেকেই কড়া নিরাপত্তার সবরকম ব্যবস্থা করতে শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। কারণ যদি আরও একবার চোরাশিকারিদের মুক্ত পরিবেশ হয়ে ওঠে এই বাওড়, তবে নির্বিচারে পাখি হত্যা যেমন হবে তেমনি নষ্ট হয়ে যাবে এই এলাকার জীববৈচিত্র্য।