স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১ তারিখ উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বাগদার বাসিন্দা বাম নেতা সজল ভদ্রকে দেখা করতে বলেন বাগদার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেত্রী গোপা রায়। সেখান থেকে তাকে বনগাঁ চাকদা সড়কের একটি জায়গায় আসতে বলেন। সেখানে আসলে একটি চায়ের দোকানের বিপরীতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে গোপা রায় তার চার চাকা গাড়ি থেকে নেমে মোটরবাইকে করে চলে যান৷ কিছু সময় পর গোপা রায়ের গাড়িটিও চলে যায়৷ তার কিছু সময়ের মধ্যেই হঠাৎ কয়েকজন অপরিচিত যুবক এসে বাম নেতাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে জোর করে একটি চার চাকা গাড়িতে তুলে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং আটকে রেখে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: নবান্নে ঢুকেই আমচকা এ কোথায় গেলেন মমতা! চরম ক্ষুব্ধ, ফাঁকা চেয়ারেও উষ্মা
মুক্তিপণ কিভাবে দেওয়া যাবে, জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জানান তৃণমূল নেত্রী গোপার সঙ্গে যোগাযোগ করলে টাকা পৌঁছে যাবে বলে দাবি ওই বাম নেতার। তাদের কাছে সেই মতো গোপা রায় ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন বলেও জানা যায়। তবে শেষ পর্যন্ত মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা এবং সোনার চেইন সহ বেশ কিছু সোনার অলংকার দিয়ে অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্তি পান বাম নেতা বলেই জানান। গোটা ঘটনায় গোপালনগর থানা সহ পুলিশ সুপার কাছে মেইল মারফত অভিযোগ জানানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কৌস্তভ নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত হাই কোর্টের! সিপি-কে কড়া নির্দেশ, এবার যা হবে...
সজল বাবুর অভিযোগ ঘটনার কথা জানাজানি করলে তাকে এবং তার ছেলেকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কের গোটা পরিবার। পাল্টা স্থানীয় ওই শাসক দলের নেত্রীর দাবি গোটা বিষয়টি মিথ্যে। যারা টাকা পাবে তারাই ওকে আটকে রেখেছিল। ওর পরিবারের লোক আমার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আমাকে জোর করে নিয়ে গেছে তাই আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। আমি বরং ওর কাছে টাকা পাবো পাশাপাশি বাগদা এলাকায় প্রচুর মানুষ টাকা পাবে। তাই সেই টাকা যাতে না দিতে হয় এই জন্যই মিথ্যে অভিযোগের দ্বারস্থ হয়েছেন তবে আমরাও আইনের দ্বারস্থ হব। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
-------Rudra Narayan Roy