জানা গিয়েছে, খড়দহের বাসিন্দা অজয় সিং ভাদুড়িয়ার ছেলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আদিত্যসিং ভাদুড়িয়ার আঙুল কাটা গিয়েছে। অজয় বাবুর অভিযোগ, স্কুলে গিয়ে এক সহপাঠীর সঙ্গে খেলতে গিয়ে দরজার কড়ার ধারালো কিছুতে লেগে তার ছেলের আঙুলটি কেটে পড়ে যায়। স্কুলে সামান্য ব্যান্ডেজ করে তাকে হেডম্যাম নন্দনী চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে বসিয়ে রাখা হয়। পাশেই আর্মি হাসপাতাল ও একটু দূরে বি এন বোস হাসপাতাল থাকলেও আদিত্যকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রথম প্রচেষ্টায় UPSC উত্তীর্ণ! কোনও রকম কোচিং ছাড়াই গোটা দেশে ২৭ ব়্যাঙ্ক
এরপরই, অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়ার কারণে ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে সময় শিশুটি কান্নাকাটি করতে থাকায়, তাকে ঝুমা ম্যাম বকাঝকা করে বলে আদিত্য খোদ অভিযোগ করে। আদিত্যের বাবা আরও জানান, তার স্ত্রীকে স্কুল থেকে প্রায় আধ ঘণ্টা পরে খবর দেওয়া হয়। তাঁর যেতে এবং ছেলেকে নিয়ে বি এন বোস হাসপাতালে যেতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হয়ে যায় এবং তাঁদের প্রথমে বলাই হয়নি ছেলের আঙুল কেটে শরীর থেকে বাদ চলে গিয়েছে।
অজয় বাবুর দাবি, যদি প্রথম থেকে তাদের বলা হত এবং সঙ্গে সঙ্গে কাটা আঙুল নিয়ে হাসপালে ছেলেকে নিয়ে যেত, তবে আঙুলটি জোড়া লাগানো যেত। বিদ্যালয়ের হেড ম্যাম-সহ স্কুল কতৃপক্ষের চরম গাফিলতিতেই ছেলের আঙুলটি চিরতরে বাদ গেল বলে দাবি বাবার। শিক্ষিকাদের এই চরম গাফিলতি ও উদাসিনতার জেরে এমন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে এলাকায়। স্কুলের এই ভূমিকা নিয়ে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান। যদিও বিদ্যালয়ের তরফ থেকে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে জানানো হয়, বিদ্যালয় কতৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে অবিভাবদের সঙ্গে কথা বলবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Rudra Narayan Roy