জরায়ুতে প্রায় ১০ কেজি ওজনের সিস্ট ছিল দেহে। দীর্ঘক্ষণের অস্ত্রোপচারে প্রাণে বাঁচল রোগীর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেঠে নদীয়ার শান্তিপুরে একটি নার্সিংহোমে। অস্ত্রোপ্রচার সফল হয় স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ পবিত্র বেপারীর হাতে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নদিয়ার রানাঘাট নাসরা মাগুরখালীর শুভেন্দু সেন এবং সীমা কোনার আজ থেকে ১১ বছর আগে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন। বিবাহের কয়েক বছরের মধ্যে সন্তান ধারণে নানান সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে থাকেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ষাঁড়ের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ কৃষকরা! মাঠের ফসল থেকে গোয়ালঘর ভেঙে চুরমার
জানা যায় তাঁর ওভারিতে সিস্ট রয়েছে, কিন্তু আগামীতে মা হওয়ার আশায় জরায়ু অক্ষত রেখে অপারেশন করতে নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারেননি অনেক ডাক্তারবাবুই। শুভেন্দু বাবুর এক নিকট আত্মীয় গাইনোকলজিস্ট ডক্টর শ্রাবণী সেন ডক্টর পবিত্র ব্যাপারীর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। কয়েক মাস আগে এই অপারেশনের প্রস্তুতি নেওয়া হয় বলেই জানান পরিবার। অবশেষে এদিন অপারেশনের পর সুস্থ স্বাভাবিক ৪৭ বছর বয়সী সীমা দেবী।
পরিবারের পক্ষ থেকে ভাই দুলাল কোনার, স্বামী শুভেন্দু সেন ডাক্তারবাবু সহ নার্সিংহোমের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন। শুভেন্দু বাবু বলেন তিনি পেশায় গান-বাজনা করেন, এত জটিল একটি অপারেশন অত্যন্ত ব্যয়বহুল ডাক্তারবাবু প্রথমে হাসপাতালে এই অপারেশন করাতে চাইলেও পরিকাঠামগত কারণে নার্সিংহোমে করতে হল তবে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড-সহ বিভিন্ন সহযোগিতায় অর্থনৈতিকভাবে খুব বেশি সমস্যা হয়নি।
ডঃ পবিত্র বেপারী বলেন, যেহেতু ওনার বয়সটা কিছুটা বেশি হয়ে গেছে তাই এই অপারেশন আগেই করা প্রয়োজন ছিল। তাহলে সন্তান ধারণে অনেকটাই সুবিধা হত তবে, তার একটি জরায়ু সম্পূর্ণ অক্ষত রেখে অপরটি সামান্য পরিবর্তন ঘটেছে।এই মুহূর্তে রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দিনে মা হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে।
জানা গিয়েছে রোগীর অ্যাপেনডিক্স কিছুটা অস্বাভাবিক থাকার কারণে তা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ এক ঘন্টা সময় ধরে যথেষ্ট বড় আকৃতি এবং ওজনের এই সিস্ট অপারেশন করতে এন্যাস্থিসিয়ন ডক্টর সুব্রত ব্রহ্ম অনেকটাই সহযোগিতা করেছেন। ওটির সমস্ত সিস্টার নার্স-সহ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট সহযোগিতার জন্যই সফল অপারেশন সম্ভব হয়েছে।
Mainak Debnath