কিছুক্ষণ পরে যখন তাকে ছিটকে মেঝেতে ফেলে দেয় তখন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পারে। এরপরই তড়িঘড়ি ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই স্কুল ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করে। জানা যায় সঞ্জনা সরকারের দাদা আট মাস আগে পথদুর্ঘটনায় মারা যায়। এরপর ওই ছাত্রীর মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গ্রিল ভেঙে মদের দোকানে দুঃসাহসিক চুরি রানাঘাটে
পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে আজ ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে পাঠায়। পরিবার এবং প্রশাসনের প্রাথমিক অনুমান টেবিল ফ্যানের পুরো বডিতে বিদ্যুৎ হয়ে যাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা। একই বছরে একই পরিবারের পরপর দুই সন্তানের মর্মান্তিক মৃত্যুর জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ হারিয়ে যাওয়া মোবাইল পুনরুদ্ধার রানাঘাট জিআরপির
উল্লেখ্য, বৃষ্টিপাত হলে এবং বিশেষত বর্ষাকালে অনেক সময় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং বৈদ্যুতিক তারে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট হয়ে থাকে। এই সময় গৃহস্থের অসাবধানতায় ঘটে যায় মারাত্মক দুর্ঘটনা। ঠিক তেমনি ইলেকট্রিক বোর্ড থেকে শর্ট সার্কিট হয় টেবিল ফ্যান। সেই টেবিল ফ্যান ধরতেই ওই কিশোরীর গায়ে বিদ্যুৎপ্রবাহ হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর ওই কিশোরী যখন ছিটকে পড়ে যায় তখন পরিবারের লোকজনেরা বুঝতে পারে এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে ঐ কিশোরীকে।
Mainak Debnath