মেলার আয়োজকরা জানাচ্ছেন, এ বছর কুম্ভস্নানে কয়েকশো নাগা সাধু ও সনাতন ধর্মের বিভিন্ন আখড়া থেকে সন্তরা হাজির হয়েছেন। এই শাহি স্নান এবং কুম্ভ মেলার কারণে তৈরি হয়েছে কমিটি। তারমধ্যে সাধুরা যেমন আছেন, তেমনই রয়েছেন কল্যাণী পৌরসভার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন ও রাজ্য প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ খুদে বৈজ্ঞানিকদের আবিষ্কার দেখতে ভিড় করছে ভীমপুরের মানুষ
advertisement
তবে কল্যাণীবাসীরা কিন্তু অনেকটাই খুশি। তার কারণ ৭০৩ বছর পর আবার কুম্ভের আয়োজন করা হলো কল্যাণীর মাঝে চড়ে, সে কারণেই কল্যাণী-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু সংখ্যক মানুষ এই মেলায় অংশগ্রহণ করছেন।
মেলার আয়োজনে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। এ রকম হাজার হাজার সাধুসন্ত একত্রিত মহা কুম্ভ তাও আবার চৈতন্য মহাপ্রভুর স্মৃতি বিজড়িত নদিয়াতে। বলা যেতে পারে কল্যাণীর মহাপ্রভু গৌরাঙ্গ ঘাটেই এই মেলার আয়োজন। এই মেলার বিশেষ আকর্ষণ গঙ্গা আরতি, যা দেখতে আপামর জনসাধারণ সন্ধ্যায় ভিড় জমাচ্ছে গঙ্গা তটে, এমনটাই জানাচ্ছেন মেলার আহ্বায়করা ।
আরও পড়ুনঃ বাজার কমিটির মাথায় প্রশাসক বসাতেই রাস্তায় নামলেন ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বহু পুণ্যার্থীএবং সাধু সন্তরা যোগ দিয়েছিলেন বাংলার প্রাচীনতম গঙ্গাসাগর মেলায়, তারপর আবার নদিয়ার কল্যাণীতে এ রকম কুম্ভ মেলার আয়োজন করার ফলে পুন্যার্থী এবং সাধু-সন্তদের বিপুল জমায়েত সত্যি লক্ষ করার মতো। তবে রানাঘাট পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনিক তৎপরতা মেলা প্রাঙ্গণকে নিরাপত্তায় মুড়ে রেখেছে, এবং দুর্ঘটনা এড়াতে ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট এবং প্রচুর পরিমাণে পুলিশের বন্দোবস্ত রয়েছে গঙ্গা ঘাটে।
Mainak Debnath





