সেখানে তিনি দাবি করেন, রাজ্যের মধ্যে প্রথম আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকাতেই এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। ১৭০টি অ্যাম্বুলেন্স ইতিমধ্যেই যাত্রী সাথী অ্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। এটি রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতরের নিয়ন্ত্রিত অ্যাপ হওয়ায় বাড়তি ভাড়া নেওয়া হবে না,এমনটাই জানা যায়। পাশাপাশি, চালকের পরিচয় যাচাই করে যাত্রী নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েই এই পরিষেবা চালু করা হচ্ছে বলে জানান হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ধর্মেন্দ্র ICU-তে থাকাকালীন গোপনে অসুস্থ অভিনেতার ভিডিও তোলার অভিযোগ! গ্রেফতার হাসপাতাল কর্মী
সঙ্কটজনক রোগীকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতলে নিয়ে যেতে হলে অ্যাম্বুলেন্স পেতে মাথায় হাত পড়ত রোগীর পরিবার-পরিজনদের।অ্যাম্বুলেন্স মানেই মোটা টাকা দাবি করা হত।সমাজের একশ্রেণীর মানুষের সামর্থ্য থাকলেও সাধারণ মানুষের কাছে সেই খরচ বহন করা দুঃসাধ্যকর হয়ে পড়ে। তাই ভোগান্তির দিন শেষ।
এবার রাজ্য সরকার যাত্রীসাথী অ্যাপের মাধ্যমে শুরু করল এই নয়া পরিষেবা। মানুষের দরজায় দ্রুত ও সুলভ মূল্যে পৌঁছে যাবে অ্যাম্বুলেন্স। রেফারের সময়ও এক ক্লিকেই হাসপাতালের দরজায় পৌঁছে যাবে অ্যাম্বুলেন্স। এই লক্ষ্যেই যাত্রী সাথী অ্যাপে জুড়ল এই নয়া পরিষেবা।
এখন থেকে ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপে বুক করলেই রোগীর অবস্থান অনুযায়ী দ্রুত পৌঁছে যাবে নিকটতম অ্যাম্বুলেন্স। ভাড়া দিতে হবে সরকারের ধার্য করা ন্যায্য মূল্যে। এতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের পকেটে চাপ কমবে, অন্যদিকে দালালচক্র বা অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার প্রবণতাও কমবে বলে আশা প্রশাসনের। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই পরিষেবার সূচনা হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে এখন সন্তোষের হাসি। দুর্গাপুরে তৎপরতার সঙ্গে রোগীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে পুলিশ আধিকারিকরা।
দুর্গাপুরে আসা এক রোগীর পরিজন তারক নায়েক জানান, তাঁর এক আত্মীয়র অবস্থা সংকটজনক। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে মোটা টাকা দাবি করছিল।পুলিশ আধিকারিকদের সহযোগিতায় তৎক্ষনাৎ তিনি ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপে অ্যাম্বুলেন্স বুকিং করেন। অল্প টাকায় অ্যাম্বুলেন্স পেয়েছেন। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ট্রাফিক (৩) রাজকুমার মালাকার বলেন,”রাজ্যের মানুষের পাশে রাজ্য প্রশাসন।
নয়া এই উদ্যোগে রোগীর পরিবার পরিজনকে আর সমস্যায় পড়তে হবে না। “বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেখা গেল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্রাফিক আধিকারিকদের তৎপরতা। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় প্রথম পর্যায়ে ১৭০ টি অ্যাম্বুলেন্সকে যাত্রী সাথীর আওতায় আনা হয়েছে।





