Nadia: সাক্ষাৎ বিশ্বকর্মা! হাতের স্পর্শে অবলীলায় সাইকেল, ভ্যান, রিকশা সারাই করছেন! দৃষ্টিহীন কৃষ্ণধন শান্তিপুরের 'অন্ধের যষ্টি'

Last Updated:

Nadia News: সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন। হাতের স্পর্শ, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের বিশেষ ক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতার জোরে অবলীলায় সাইকেল, ট্রলি ভ্যান কিংবা রিকশা সারিয়ে চলেছেন শান্তিপুরের কৃষ্ণধন সরকার। ১০-১২ বছর আগে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন তিনি।

+
শান্তিপুরের

শান্তিপুরের দৃষ্টিহীন সাইকেল সারানোর মিস্ত্রি

শান্তিপুর, নদিয়া , মৈনাক দেবনাথ: নদিয়ার শান্তিপুরের বাথানগাছি গ্রামের ১০০% দৃষ্টিহীন ৬৫ বছর বয়সি কৃষ্ণধন সরকার। আগে তিনি সাইকেল মিস্ত্রি ছিলেন। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে ছিল তার দোকান। তবে ১০-১২ বছর আগে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার পর বাড়িতেই খুলেছেন দোকান। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বারো মাস প্রতিদিন তিনি নিয়ম করে দোকান খোলেন। আশেপাশে আরও দোকান থাকলেও ওনার উপর ভরসা সকলেরই।
হাতের স্পর্শ, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের বিশেষ ক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতার জোরে আজও সাইকেল, ট্রলি ভ্যান কিংবা রিকশা অবলীলায় মেরামত করে চলেছেন তিনি। শুধু চাকার লিক নয়, বড়সড় যন্ত্রাংশও অনায়াসে সারিয়ে ফেলেন আন্দাজে। এমনকি দোকানের ছোটখাটো যন্ত্রাংশ কোথায় কী রেখেছেন তা নিজেই খুঁজে পেয়ে যান অনায়াসে।
আরও পড়ুনঃ শপিংমলের দামি খেলনা মিলছে অর্ধেক দামেই! টাকি রোডের ধারে ‘খেলনার হাট’ শিশুদের স্বর্গরাজ্য, দূরদূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারা
কৃষ্ণধন বাবুর স্ত্রী জানাচ্ছেন, পারিশ্রমিকের অর্থ নেওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি সাবলীল, তবে কাগজের নোটের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে একটু সমস্যায় পড়তে হয়।
advertisement
advertisement
স্থানীয় মানুষজন ও পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য, “এমন কাজ ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছাড়া সম্ভব নয়।” কৃষ্ণধন সরকার ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতাযুক্ত দৃষ্টিহীন। মানবিক ভাতা পান তিনি। তার স্ত্রী পান বার্ধক্য ভাতা। তবে ভাতার সামান্য টাকায় সংসার চালানো মুশকিল। তাই দোকানটি তাদের উপার্জনের বড় ভরসা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একমাত্র ছেলে টোটো চালান এবং বাবার সঙ্গে সহযোগিতা করেন। পরিবারের আশা, সরকার যদি এগিয়ে আসে, তাহলে আর্থিক সঙ্কট কিছুটা হলেও দূর হবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Nadia: সাক্ষাৎ বিশ্বকর্মা! হাতের স্পর্শে অবলীলায় সাইকেল, ভ্যান, রিকশা সারাই করছেন! দৃষ্টিহীন কৃষ্ণধন শান্তিপুরের 'অন্ধের যষ্টি'
Next Article
advertisement
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
  • দুর্গাপুর স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা ভেন্ডিং মেশিনে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় পাওয়া যাবে

  • UPI-দিয়ে সহজেই পেমেন্ট করা যাবে

  • দুর্গাপুর স্টেশন স্মার্ট, পরিষ্কার এবং যাত্রী-সহযোগী স্টেশন হয়ে উঠছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement