হাতের স্পর্শ, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের বিশেষ ক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতার জোরে আজও সাইকেল, ট্রলি ভ্যান কিংবা রিকশা অবলীলায় মেরামত করে চলেছেন তিনি। শুধু চাকার লিক নয়, বড়সড় যন্ত্রাংশও অনায়াসে সারিয়ে ফেলেন আন্দাজে। এমনকি দোকানের ছোটখাটো যন্ত্রাংশ কোথায় কী রেখেছেন তা নিজেই খুঁজে পেয়ে যান অনায়াসে।
advertisement
কৃষ্ণধন বাবুর স্ত্রী জানাচ্ছেন, পারিশ্রমিকের অর্থ নেওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি সাবলীল, তবে কাগজের নোটের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে একটু সমস্যায় পড়তে হয়।
স্থানীয় মানুষজন ও পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য, “এমন কাজ ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছাড়া সম্ভব নয়।” কৃষ্ণধন সরকার ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতাযুক্ত দৃষ্টিহীন। মানবিক ভাতা পান তিনি। তার স্ত্রী পান বার্ধক্য ভাতা। তবে ভাতার সামান্য টাকায় সংসার চালানো মুশকিল। তাই দোকানটি তাদের উপার্জনের বড় ভরসা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একমাত্র ছেলে টোটো চালান এবং বাবার সঙ্গে সহযোগিতা করেন। পরিবারের আশা, সরকার যদি এগিয়ে আসে, তাহলে আর্থিক সঙ্কট কিছুটা হলেও দূর হবে।





