স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রহ্লাদ ঘোষ বাড়িতে না থাকলে তার স্ত্রীর সঙ্গে বাবুসোনা ঘোষ দেখা করতে যেত। এ বিষয়ে স্বামী প্রহ্লাদ ঘোষের সঙ্গে অনেক কথা কাটাকাটি ও হয় এবং স্ত্রীকে বারবার বাবুসোনা ঘোষের সঙ্গে মিশতে বারণ করলেও তার স্ত্রী সেই কথা শোনে না। পুলিশ সূত্রে জানা যায় এরপরেই প্রহ্লাদ ঘোষ তার স্ত্রী নমিতা ঘোষ কে নিয়ে ধুবুলিয়া থেকে কৃষ্ণগঞ্জে যায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানেই তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে মিলিত হয়ে স্ত্রীকে দিয়ে ফোন করায় তার প্রেমিক বাবুসোনা ঘোষকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দশভূজার উদ্যোগে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির নদিয়ায়
ফোন করে বাবুসোনা ঘোষকে ডাকা হয় এরপর প্রহ্লাদ ঘোষ, স্ত্রী নমিতা ঘোষ, প্রসেনজিৎ ঘোষ, শংকর ঘোষ মিলে শ্বাসরোধ করে প্রথমে খুন করে বাবুসোনা ঘোষকে। এরপর প্রমাণ লোপাট করার জন্য তার দেহ থেকে মাথা কাটা হয়। এবং সেই কাঁটা মুন্ডুটি স্থানীয় একটি আম বাগানে পুঁতে ফেলা হয়। দেহ থেকে জামা কাপড় খুলে প্রমান লোপাটের জন্য সেগুলি কেউ অন্য জায়গায় পুঁতে রাখা হয়। এবং মুণ্ডহীন দেহটি ভাসিয়ে দেয়া হয় মাথাভাঙ্গা নদীর জলে।
আরও পড়ুনঃ একটু বৃষ্টিতেই দাঁড়িয়ে যায় জল! বাজারে সমস্যায় ক্রেতা বিক্রেতারা
কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে প্রহ্লাদ ঘোষকে ধুবুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে এবং তার স্ত্রী নমিতা ঘোষকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসে এবং পুলিশের জেরায় তাদের অপরাধ স্বীকার করে । প্রথমে পুলিশ মুন্ডুটা উদ্ধার করে এরপর এলাকার ধৃত প্রহ্লাদকে নিয়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে যায় দেহ উদ্ধার করার জন্য। যদিও বাবুসোনার দেহ তল্লাশি করেও পুলিশ নদী থেকে উদ্ধার করতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
Mainak Debnath