তাই রানাঘাট ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৃহবধূ মুক্তা রায় বাড়িতেই খুলে ফেলেছেন পিঠে তৈরি ব্যবসা। নিত্য নতুন ঘরে বসে নানা অনুষ্ঠান, মেলায় পিঠে পুলি তৈরি করে কিছু অর্থ উপার্জন শুরু করেছেন। এমনকি পৌষ সংক্রান্তি তিথি উপলক্ষে শুধু তিনদিন পিঠে নয়, তিনি সারা বছর পিঠে তৈরি করে মুনাফা ঘরে তুলছেন।
advertisement
নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় পিঠে-পুলি তৈরি রেওয়াজ থাকলেও সারাবছর যাতে এই পিঠে পুলি থাকে তার জন্য পিঠে-পুলি বাড়িতে তৈরি থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন অর্ডার পেলে তিনি সেই অর্ডার অনুযায়ী পিঠে-পুলি তৈরি করছেন। নতুন খেজুর গুড় আলাদা ভাবে ঠান্ডা ফ্রিজে রেখে দেন। যাতে সারা বছর পিঠে-পুলির স্বাদ ভোজনরসিক দের পাতে তুলে দিতে পারেন। এমন পরিকল্পনা করে তার পিঠের ব্যবসা চালিয়ে যাবেন। সরা পিঠে, পাটিসাপটা, দুধপুলি, এমনকি বাংলাদেশের নানা পিঠে তৈরি করে বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন।
মুক্তা দেবী বলেন একান্নবর্তী পরিবার হওয়ার কারণেই এই পরম্পরা এখন নষ্ট হওয়ার যোগার তবে খেতে অনেকেই ভালোবাসে এর বাজারও ভাল। তবে ব্যবসায়িকভাবে রূপ দিতে পারলে নিশ্চয়ই স্বনির্ভর হতে পারবে ঘরের অনেক মহিলারা। তবে শুধুমাত্র শীতকাল নয়, স্বাদ কিছুটা তততম হলেও গ্রীষ্মকালেও পিঠেপুলির আয়োজন থাকবে বলেই তিনি জানান।
Mainak Debnath