এদিন রেলের প্যানেল নিয়ে আসা হয় এবং সেই প্যানেলগুলো মালগাড়ি থেকে নামানো হয়। ২৬০ মিটার লম্বা ৪২ টি প্যানেল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে রেল দফতর সূত্রে। এই প্যানেলগুলো বসানো হবে এবং যে রেললাইন বা প্যানেল বসানো হয়েছে ইতিমধ্যেই, সেই অস্থায়ী রেললাইন বা প্যানেল খুলে ফেলা হবে। নতুন রেল প্যানেল বসানো শেষ হলেই কাজ একদম শেষের দিকে চলে যাবে। সেই রেল প্যানেল ফেলার জন্য মুর্শিদাবাদ রেল স্টেশন থেকে নশিপুর রেল ব্রিজ পর্যন্ত মালগাড়ির চাকা গড়াতে দেখা যায়। যার ফলে খুশি রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
advertisement
আরও পড়ুন: গণেশ নাকি বিশ্বকর্মা কার মূর্তি বানাবে মৃৎশিল্পীরা ! কুমোরটুলিতে ধন্দ
এই নশিপুর রেলব্রিজের কাজ সম্পন্ন হলেই আর উত্তরবঙ্গ যেতে বেশি সময় লাগবে না। অল্প সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যাবে উত্তরবঙ্গ। সেই কারণেই ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ওই রেল সেতুর শিলান্যাস করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। পরে ২০০৬ সালে সেতু নির্মাণের কাজও শুরু হয় । ২০১০ সালে এপ্রিল মাসে সেতুর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি।
ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে আজিমগঞ্জের দিকে দুটি মৌজা চর মহিমাপুর ও মাহিনগর দিয়ারে মোট সাড়ে সাত একর জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সেই কারণেই আটকে ছিল নশিপুর রেলব্রিজের কাজ। অবশেষে এই বছর জানুয়ারি মাসে জমি জট কাটিয়ে শুরু হয় নশিপুর রেল ওভারব্রীজের কাজ। অবশেষে সেই কাজ এখন শেষের দিকে। আগামী দিনে উত্তরবঙ্গ হোক বা দিল্লি খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে গন্তব্য নবাবের জেলা থেকে। পাশাপাশি বহু পর্যটকের আসতেও সুবিধা হবে নবাবের জেলায়।
কৌশিক অধিকারী