ভিনরাজ্যে সারা বছর কাজ থাকে। কিন্তু গ্রামে নিয়মিত কাজ মেলেনা। তাই শ্রমিকেরা ভিনরাজ্যে চলে যাচ্ছেন। এইদিকে মরশুমে ধান কাটার শ্রমিকের অভাব দেখা দিচ্ছে। আগের তুলনায় এখন অনেকের মধ্যে ধান কাটা কাজের প্রতি ঝুঁকি কমেছে। বর্তমান প্রজন্মের শ্রমিকেরা বাইরে গিয়েই কাজ করতে পছন্দ করছেন। বয়স্ক ও কিছু মহিলা শ্রমিক বর্তমানে ধান কাটার কাজ করছেন। তবে শ্রমিকের চাহিদার তুলনায় খুব কম শ্রমিক রয়েছে। কম শ্রমিক থাকায় চাহিদা বেড়েছে, কারণ পাকা ধান মাঠে পড়ে থাকলে ঝড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রোজগার মেলায় ভারতীয় রেলের মালদহ ডিভিশনে চাকরি পেলেন ৪২ জন চাকরিপ্রার্থী
মেশিনের সাহায্যে এখন অনেকেই ধান কাটছেন। কিন্তু মেশিনের সাহায্যে ধান কাটলে খড় তৈরি হয়না। অধিকাংশ কৃষকের বাড়িতে গবাদিপশুর রয়েছে। খড় খাওয়ানো হয় গবাদিপশু কে। তাই মেশিনের সাহায্যে ধান কাটা ও ঝাড়াই করলে লোকসান হবে কৃষকদের। মালদহ জেলা জুড়ে শ্রমিকদের ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনের পর দিন। তার প্রমাণ মরশুমে ধান কাটার জন্য শ্রমিক সমস্যা। ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ গোটা বছর মেলে। এমনকি সেখানে রোজগার বেশি হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বল ভেবে বাড়িতে নিয়ে গেল বোমা! ছুড়ে ফেলতেই বিস্ফোরণে জখম দুই শিশু!
এদিকে গ্রামীণ এলাকায় প্রতিদিন কাজ মেলেনা। কাজ মিললেও মজুরি কম। গোটা বছর কাজ থাকেনা। সেই সময় বাড়িতে বসে থাকতে হয় শ্রমিকদের। শুধু মাত্র ধান কাটার সময় চাহিদা বেশি থাকে। তাই গোটা বছর কাজ পেতে এখন সকলেই ভিনরাজ্যে পারি দিচ্ছে। শ্রমিকেরা ভিনরাজ্যে চলে যাওয়ায় কৃষিকাজ করতে গিয়ে শ্রমিকের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। সমস্ত কৃষকেরা আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কৃষি কাজ করতে পারছেন না। নানান সমস্যার থাকায়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকেরা সরকারি ভাবেও তেমন কোন সাহায্য পাচ্ছেন না।
Harashit Singha