মালদা জেলার গাজোলের রানীগঞ্জ এক নম্বর পঞ্চায়েতের শিমুলঝুড়ি গ্রামের প্রায় দেড়শটি পরিবার মৃৎশিল্প কাজের সাথে জড়িত। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই মাটির টব, হাড়ি কলসি সহ ঘর সাজানোর বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি হয়। শুধু মালদহ জেলা নয় এই গ্রামের শিল্পীদের হাতে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী রাজ্য তথা রাজ্যের বাইরে সুনাম কুড়িয়েছে। বর্তমানে এই গ্রামের মাটির জিনিসপত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উড়িষ্যা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ তামিলনাড়ু সহ বিভিন্ন রাজ্যে যায়। গ্রামের শিল্পীদের হাতে তৈরি সামগ্রী কদর বাড়তে থাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। মালদা জেলা শিল্প কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ওই গ্রামের শিল্পীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি আধুনিক বিদ্যুৎ চালিত ভাটা তৈরীর আশ্বাস দেওয়া হয়। এর সুবাদ গ্রামের শিল্পীদের রোজগার আরো বৃদ্ধি পাবে।
advertisement
আরও পড়ুন - দিল্লি বেড়াতে গিয়ে মাঝপথেই উধাও! সেদিনের কিশোরী সারদা ঘরে ফিরল যুবতী হয়ে! কাণ্ড শুনে তাজ্জব সবাই
আরও পড়ুন - নেই স্কুল বাড়ি! খোলা আকাশের নীচেই চলছে ক্লাস এই গ্রামে
মালদহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কয়েক দফায় সরকারি সহায়তায় প্রশিক্ষণ এবং যন্ত্রচালিত ভাটা ব্যাবহারের বিভিন্ন সরঞ্জাম শিল্পীদের প্রদান করা হয়। সরকারি প্রশিক্ষণ মেলার পর থেকেই বদলে গেছে মালদহের শিমুলজুরির মৃৎশিল্পীদের কাজের ধরণ। যন্ত্র চালিত সরঞ্জাম মেলায় বেড়ে গিয়েছে উৎপাদন। বাহারি টবের পাশাপাশি মাটির পুতুল দৈনন্দিন ব্যবহারের সামগ্রিক ঘর সাজানোর নানা সরঞ্জাম তারা তৈরি করছেন।গৃহকর্তাদের পাশাপাশি বাড়ির মহিলারাও এই কাজে জড়িয়ে রয়েছেন। জেলা শিল্প কেন্দ্র পক্ষ থেকে এলাকার প্রায় ৩০ জন শিল্পীকে মাটির পুতুল থেকে মাটির বিভিন্ন সামগ্রী তৈরীর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রদান করলেও এখনও আধুনিক ভাটা মেলেনি।
কাজের প্রশিক্ষণ মেলায় গুণগত মান বেড়েছে তাদের তৈরি সামগ্রী। যার জেলে রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে চাহিদা বেড়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কাজ দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে। তবে ভাটাগুলি এখনো তৈরি না হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিল্পীদের। অস্থি ভাটাতে মাটির তৈরি জিনিসপত্র পোড়াতে সমস্যা হচ্ছে। সময় বেশি লাগছে। প্রচন্ড গরমে শিল্পীদের কাজ করতে হচ্ছে। অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ভাটা গুলির দ্রুত কাজ শেষ হলে ও প্রকল্পিত ভাটা গুলি তৈরি করে দিলে অনেকটাই সুবিধা হবে শিল্পীদের। মালদহ জেলা শিল্প কেন্দ্রের কর্তারা জানান, ওই এলাকার শিল্পীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সামগ্রিক প্রদান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে দুইটি আধুনিক ভাটা তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পের টাকা বর্তমানে আসছে না। তাই নতুন ভাটা গুলি তৈরীর কাজ আমরা শুরু করতে পারছি না। টাকা আসলেই দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।
Harashit Singha